সিরিয়ায় তুর্কি সামরিক অভিযান বন্ধ প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-কে তুরস্কে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) এই ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।
সিরিয়ায় ৮ দিন ধরে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে তুরস্ক। ইতোমধ্যে এই অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের এই আহ্বানকে পাত্তাই দেননি তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। উল্টো সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে অভিযান চালানোর ঘোষণা দিলেন তিনি।
তবে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর এবার এরদোগানকে রাজি করাতে তুরস্ক আসছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। অবশ্য এই বৈঠকের পরও এরদোগান তার অবস্থান থেকে সরে আসবেন না বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে সিরিয়ায় অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেন তিনি। কিন্তু তুর্কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আহ্বানকে পাত্তাই দেননি।

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পর পরই সেটি নাকচ করেছিলেন এরদোগান। একই সঙ্গে তিনি কড়া ভাষায় বলেছিলেন, যতই চাপ সৃষ্টি করা হোক না কেন তুরস্ক যুদ্ধবিরতিতে আসবে না। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে তিনি বললেন, কুর্দিরা আত্মসমর্পণ বা যুদ্ধ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার না করলে তুরস্ক সেখান থেকে সরে আসবে না।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কুর্দিরা যদি তাদের হাত থেকে অস্ত্র না সরায় তবে তুরস্কের অভিযান থামবে না বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। বুধবার এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার অভিযান চলবে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। কোনো শক্তিই আমাদের থামাতে পারবে না।
 

এসকে