• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০১৯, ১২:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৮, ২০১৯, ১২:৫৪ পিএম

তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক

সিরিয়ায় সাময়িকভাবে স্থগিত সেনা অভিযান

সিরিয়ায় সাময়িকভাবে স্থগিত সেনা অভিযান

অবশেষে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান স্থগিতে রাজি হয়েছে তুরস্ক। দীর্ঘ প্রায় ১০ দিন অভিযান শেষে এমন সিদ্ধান্ত জানাল দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে তারা এটাও জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই যুদ্ধবিরতি নয়, এটা অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিতের সিদ্ধান্ত।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) তুর্কি গণমাধ্যম আনাদুলো এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানায়, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। এর মাধ্যমে ওই এলাকার সন্ত্রাসীদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্রের এক যৌথ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এর বৈঠকের পর সিরিয়ায় অভিযানের ব্যাপারে একটি চুক্তিতে আসে দুপক্ষ। মূলত এ কারণেই যুদ্ধ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা।

এ দিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে যুদ্ধবিরতিতে আসতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে কুর্দিদের সরে যাওয়ার সুযোগ দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুর্কি প্রশাসন।

নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ দিনের জন্য যুদ্ধ স্থগিত থাকবে। এর মধ্যে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে কুর্দিদের সরে যেতে সাহায্য করবে মার্কিন প্রশাসন। যদিও কুর্দিরা এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে কি না তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।

এর আগে সিরিয়ায় অভিযান বন্ধের জন্য এরদোগানকে আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এরদোগান তাতে সাড়া দেননি। এ কারণে এরদোগানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে মাইক পেন্স ও মাইক পম্পেও তুরস্কে আসেন। শুরুতে এ দুজনও ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছিল রয়টার্স। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তুরস্ক তাদের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল সন্ত্রাসমুক্ত করতে ৯ অক্টোবর (বুধবার) অপারেশন ‘পিস স্প্রিং’ শুরু করে তুরস্ক। ইতোমধ্যে সেখানকার রাস আল আইন এবং তেল আবিয়াদ শহর দুটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তুর্কি সমর্থিত সেনারা। 

সিরিয়ায় অভিযান সম্পর্কে তুরস্ক বলছে, কুর্দিরা সিরিয়ার ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠেছে। তাদের না সরালে সিরিয়া ভূখণ্ড হুমকির মুখে পড়বে। এমনকি কুর্দিদের নিজেদের জন্যও হুমকি মনে করে তুরস্ক।

এসকে

আরও পড়ুন