• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০১৯, ০৩:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৯, ২০১৯, ০৩:০৫ পিএম

ব্রেক্সিট প্রস্তাবে উত্তপ্ত পার্লামেন্ট, এমপিদের ভোটাভুটি আজই

ব্রেক্সিট প্রস্তাবে উত্তপ্ত পার্লামেন্ট, এমপিদের ভোটাভুটি আজই
পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন- ছবি: দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের সৌজন্যে

ভিডিও: ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সরাসরি বিতর্ক- সৌজন্যে: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট 

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মতির পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ব্রেক্সিট প্রস্তাবের ওপর আজ ফের এমপিদের ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ (শনিবার) ব্রেক্সিট ইস্যুতে পার্লামেন্টে ব্রিটিশ এমপিদের বক্তব্য উপস্থাপন চলছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা ইন্ডিপেন্ডেন্ট নিউজ প্রকাশিত সংবাদের তথ্য মতে, আজ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে নিজেদের মত দেবেন ব্রিটিশ আইপ্রণেতারা।

খবরে বলা হয়, ব্রেক্সিট প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন পেতে এমপিদের রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যদিও জনসনের এই পরিকল্পনায় সমর্থন না দেয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছে বিরোধী লেবার পার্টি ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি। পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আগে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে বক্তব্যের পর এমপিদের প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

গত বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে বরিস জনসনের সঙ্গে আলোচনার পর চুক্তিতে সম্মত হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

১৯৮২ সালে আর্জেন্টিনা ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ আক্রমণ করলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেছিলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা। এরপর ক্রান্তিকালীন মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিতীয়বারের মতো আজ বৈঠকে বসছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। পার্লামেন্টের অনুমোদন পেলে নির্ধারিত ৩১শে অক্টোবরে নতুন চুক্তির ভিত্তিতে ইইউ ত্যাগ করবে ব্রিটেন।

জনসনের নতুন চুক্তি পার্লামেন্টে পাস করা কনজারভেটিভ পার্টির জন্য কঠিন হবে। কারণ হাউজ অব কমন্সের সাড়ে ৬০০ আসনে কনজারভেটিভ পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিরোধীদের তোপে ব্রেক্সিট আরো বিলম্বিত এবং আরেকটি গণভোটের দরকার হতে পারে। আরো বড় শঙ্কা হলো, ব্রেক্সিট ইস্যুতে জনসন সরকারের পতন হতে পারে।সেক্ষেত্রে নতুন সরকার নতুন করে ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু করবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নতুন ব্রেক্সিট চুক্তির প্রস্তাবগুলোর বেশিরভাগই সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র করা চুক্তির প্রস্তাবগুলোর মতোই। মূলত উত্তর আয়ারল্যান্ডবিষয়ক প্রস্তাবগুলোতেই পরিবর্তন এনেছেন জনসন।

জনসনের প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তিতে অন্তর্ভূক্ত বিষয়গুলো এক নজরে-

 উত্তর আয়ারল্যান্ড ইইউর একক মার্কেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে।

বিতর্কিত ‘ব্যাকস্টপ’ থাকবে না। সমালোচকদের ভয়, এই ‘ব্যাকস্টপ’-এর কারণে যুক্তরাজ্যকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইইউর সঙ্গে কাস্টমস ইউনিয়নে থেকে যেতে হতে পারে।

উত্তর আয়ারল্যান্ড বরং যুক্তরাজ্যের কাস্টমস টেরিটোরির অংশ হিসাবে থাকবে। ফলে ব্রেক্সিটের পর ভবিষ্যতে সরকারের যেকোনো বাণিজ্যচুক্তিতে তারা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারবে।

 একই সঙ্গে উত্তর আয়ারল্যান্ড ইইউর কাস্টমস জোনে প্রবেশদ্বার হিসেবেও থাকবে।

কোন কোন পণ্য একক বাজারে প্রবেশ করার ঝুঁকিতে আছে তা নির্ধারণ করবে ইইউ/ইউকে যৌথ কমিটি।

উত্তর আয়ারল্যান্ড অ্যাসেম্বলি নতুন বাণিজ্য ব্যবস্থা চালু রাখার প্রশ্নে প্রতি চার বছর পরপর ভোট অনুষ্ঠান করবে।

সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে।

এ চুক্তি নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য এসেছে অনেকের কাছ থেকে। তবে বরিসের মতে এই ব্রেক্সিট সিদ্ধান্ত ব্রিটিশদের সবকিছু নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে।

এসকে

আরও পড়ুন