• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০১৯, ০৯:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৯, ২০১৯, ০৯:৪৬ পিএম

‘খালেদা জিয়া-তারেক শাস্তি পেয়েছেন, খুচরারাও পাবে’

‘খালেদা জিয়া-তারেক শাস্তি পেয়েছেন, খুচরারাও পাবে’

চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানকে ‘বিএনপি আইওয়াস’ বলায় সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়া সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির দায়ে তাদের দলের প্রধান খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তো শাস্তি পেয়েই আছে। এছাড়া তাদের আরও অনেক খুচরা নেতা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মানুষ খুন বহু অপরাধে অপরাধী। পর্যায়ক্রমে সবগুলিতেই শাস্তি পাবে। সাজা তাদের পেতে হবেই। একটু অপেক্ষা করতে হবে, কিন্তু তারা তা পাবেই। সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের বিষয়ে বেশি কিছু করণীয় নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। 

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে গণভবনে আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত ১৮তম ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনের নিয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভয় শব্দটি আমার ডিকশেনারিতে নেই, আর ভয় পাওয়ার লোক আমি না। ভয় যদি পেতাম, এ অভিযানে (দুর্নীতি বিরোধী) আমি নামতাম না।’ 

ভয় শব্দটি আমার ডিকশেনারীতে নেই: 

মেননের বক্তব্য লুফে নিয়ে বিএনপি সরকার তখনের জুজুর ভয় দেখাচ্ছেন, এতে প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন কিনা সংবাদ সম্মেলনে এমন এক প্রশ্নের জবাবে হেসে ফেলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, রাজনীতির সঙ্গেই জন্ম। আমার বাবাকে আমি দেখেছি, সাহসের সঙ্গে রাজনীতি করে এই বাংলাদেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। ভয় শব্দটি আমার ডিকশেনারিতে নেই।

তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, যে দিন বাংলার মাটিতে পা দিয়েছি, সে দিনেই জানতাম আমার বাবা-মায়ের হত্যাকারী তারা রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত কুটনৈতি মিশনে যে কোনো সময় আমাকে হত্যা করতে পারে। আমি জানি কারা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ছিল। আমি কোনো কোনো দিন কারও কাছ থেকে এতটুকু ফেভার পাই নি। উজানে নাও ঠেলে ঠেলেই কিন্তু আমি সরকারেও এসেছি, দেশের উন্নয়নও করছি।

সাকিবের বিষয়ে বেশি কিছু করণীয় নেই : 

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে উঠা ম্যাচ ফিক্সিং বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের পক্ষে সাকিবের ব্যাপারে খুব বেশি কিছু করার নেই। আইসিসি কোনো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কিছু করণীয় থাকে না। তবে সাকিবের পাশে বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) থাকবে। সাকিবকে বিসিবি সব ধরনের সহযোগিতাও দেবে।

তিনি বলেন, ক্রিকেট খেলোয়াড়দের সঙ্গে জুয়াড়িরা যোগাযোগ করে। ওর যেটা ভুল হয়েছে, যখন যোগাযোগ করা হয়েছে। তখন বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। সে কথাটি আইসিসিকে জানায়নি। নিয়মটা হচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে জানানো উচিত ছিল। সে এটাই ভুল করেছে। আইসিসি যদি অবস্থান নেয়, সে ক্ষেত্রে আমাদের তো খুব বেশি কিছু করণীয় থাকে না। আমাদের দেশের ক্রিকেটার এবং খেলোয়াড় হিসেবে তার একটি অবস্থান আছে। সে ভুল করেছে, এটা ঠিক। সে সেটা বুঝতেও পেরেছে। আর বিসিবি বলেছে, তার পাশে তারা থাকবে। এর চেয়ে খুব বেশি যে করণীয় কিছু আছে, তা কিন্তু না।’

এ সময় ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা হঠাৎ করেই একটা ধর্মঘট ডেকেছে। তাদের দাবি থাকলে তো জানাতে পারত। বিসিবিকে তারা জানাতে পারতো। কথা নেই বার্তা নেই, হঠাৎ করে তারা ধর্মঘটের ডাকা দিয়ে বসলো। আমার জীবনে আমি শুনিনি যে ক্রিকেটা খেলোয়াররা এভাবে ধর্মঘট করে। ধর্মঘট করলে তো পূর্বের নোটিশ দেয়, সময় দেয়, তারপরে করে। ‘পরবর্তী সময়ে তারা বোর্ডে গেছে। সে ঝামেলা মিটমাট হয়ে গেছে। আমার মনে হয় পৃথিবীর খুব কম দেশই আছে, যারা এভাবে ক্রিকেটারদের সমর্থন দেয়।’

এক সম্পাদক ব্যাংকের এমডিকে হুমকি দিয়েছেন :

দুর্নীতিবাজ কতজনের তালিকা আছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কত জনের তালিকা আছে আমি এটা কেন বলবো?  তবে এ টুকু বলতে পারি, কোন এক পত্রিকার সম্পাদক কোনো এক ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে ফোন করে বলেছে, কিছু একটা টাকা চায়, সেটা যদি না দেয়া হয়, তবে তার বিরুদ্ধে এমন লেখা লিখবে, যে তার জীবটাই ধ্বংস করে দেবে। সে নামটা নিশ্চয়ই শুনতে চাইবেন না এখন। সেটা বের হোক, তারপরে জানবেন।  

‘ক্রিকেটের সঙ্গে ক্যাসিনো টেনে এসেছেন এটা ঠিক না’ এমন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, হয়তো এখানেও (ক্যাসিনোর) একজন ছিল। সে রকম তোমাদের সাংবাদিক মহলে খুঁজলে তো অনেকের খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। ভবিষ্যতে যদি পাই তখন কি করবেন বলেন? সেটাও তো আপনাদের ভাবতে হবে। এটাই বাস্তবতা। কখন কে কিসে ধরা পরে তার কোন ঠিক নেই।  

তিনি বলেন,  ‘এতদিন ধরে ক্যাসিনো পরিচালিত হয়ে আসছে, কই, আপনারা তো কেউ কোনো নিউজ করেন নি। কোন সংবাদপত্রে কোনো নিউজ আসে নি, যে এ রকম ক্যাসিনো খেলা হয়। আপনারা এত খবর রাখেন, এ রকম আধুনিক আধুনিক যন্ত্রপাতি এসেছে, এত কিছু হলো আপনারা কেউ খবর রাখলেন না। আমিই তো এদের ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু এতগুলো চ্যানেল আছে, আপনারা কেউ নিউজ করতে পারলেন না? ধরবো আমরা, তারপরে আমাদেরই এ ব্যাপরে প্রশ্ন করবেন, এটা তো হয় না। বরং আপনারা সাহায্য করেন, আর একটু  খুঁজে বের করেন কোথায় কি পাওয়া যায়।

নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললে তার জয়ও প্রশ্নবিদ্ধ :  

সম্প্রতি বরিশালে গিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির এক অনুষ্ঠানে একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে মন্তব্য দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন যে মন্তব্যে করেছেন সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললে ১৪ দলীয় জোটের ওই নেতাও বিতর্কিত হয়ে পড়েন।  
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মজা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি (মেনন) বলেতো ভালো করেছে। সাংবাদিকরা লেখার খোরাক পেয়েছেন। না বললে কী লিখতেন।’

তিনি বলেন, আমাদের জোটের নেতা প্রশ্ন তুলেছেন, তার মনে তো কষ্ট থাকতেই পারে। এ বিষয়ে জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। আমি বলেছি, এ বিষয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। তার মনের কষ্ট থেকে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললে তার জয়ও প্রশ্নবিদ্ধ’ হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ যদি ভোট না দিত, আমাদের পক্ষে না থাকতো, তাহলে আমাদের সমর্থন থাকতো না। তাদের (বিএনপি) ভোটবিহীন নির্বাচনের বিরুদ্ধে আমরা গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পেরেছিলাম। আমাদের জনসমর্থন ছিল। এবারের নির্বাচনের পর জনগণ, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। শুধু আওয়ামী লীগের না, বিএনপির ব্যবসায়ীরাও আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। কারণ আমরা সবার কাজ করার সুযোগ করে দিতে পেরেছি।

রাশেদ খান মেনন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাকে তো আমি বহুদিন থেকেই চিনি। আমরা একসঙ্গেই রাজনীতি করেছি। ‘৭০ সালে যখন নির্বাচন দেয়া হলো তখন তিনি স্লোগান দিলেন, ‘ভোটের বাক্সে লাথি মারো বাংলাদেশ স্বাধীন করো।’ কিন্তু, তখন ভোট না হলে তো বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। ‘৭২ সালে যখন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্থল সীমান্ত চুক্তি হলো তখন বলেছিলেন, ‘বেরুবাড়ি বেঁচে দিলো,’ ‘বেরুবাড়ি বেঁচে দিলো’। কিন্তু, পরবর্তীতে সবাই দেখেছেন বেরুবাড়ি বেঁচে দেয়া হয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কিছু করে না। বেরুবাড়িতে ভারত ভারতের অংশ পেয়েছে, আমরা আমাদের অংশ পেয়েছি। এসবের প্রেক্ষিতে ১৪ দল বসেছে, তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এমন বক্তব্য তিনি হয়তো আরও দেবেন, এতে আমার কোনও মন্তব্য নেই।

ক্রিকেটকে নদীতে নিয়ে যাচ্ছেন কেন? :

কলকাতায় ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দেখতে গিয়ে তিস্তা নদী নিয়ে কূটনৈতিক কোনো আলোচনা হবে কিনা এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাল্টা প্রশ্ন, ক্রিকেটকে নদীতে নিয়ে যাচ্ছেন কেন? প্রধানমন্ত্রী জানান, ওই খেলা দেখতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসছেন না। আর কূটনীতি বিষয়ে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে কথা বলার তো আরও সময় আছে। তখন কথা হবে।

কলকাতায় ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দেখতে তার নিজের যাওয়ার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাকে ফোন করেছিল সৌরভ গাঙ্গুলী। সে একজন বিখ্যাত খেলোয়াড়, ভারতের ক্যাপ্টেন ছিলেন, এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি হচ্ছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান। সে ফোন করে আমাকে কলকাতায় ভারত-বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা দেখা দাওয়াত দিয়েছে। আমি বলেছি আমি আসবো। ক্রিকেট খেলা দেখতে যাবো সেখানে তিস্তা নিয়ে কথা বলে তিক্ততা এখানে তুলবো কেন?

খালেদা জিয়া-তারেক শাস্তি পেয়েছেন, খুচরারাও পাবে:

রাজনীতিবিদ ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সময় বলে দেবে।’ আমরা তো ওভাবে বেছে বেছে ক্যাইটেরিয়া ঠিক করে তো ধরা হচ্ছে না। যখন সেটাকে পাওয়া যাচ্ছে সেটাকে ধরা হচ্ছে। এবং ধরার পরে পাওয়া যাচ্ছে কে কি? কাজেই এই অভিযান যখন চলছে, তখন সেটা বেরুবার বের হবে।  

নুসরাত হত্যার বিচার দৃষ্টান্ত :

‘নুসরাত হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃষ্টান্ত’ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু নুসরাত নিজে জবানবন্দি দিতে পেরেছিল, যে কোন মার্ডার কেসে প্রত্যক্ষ সাক্ষী অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তার নিজের জবানবন্দিটা ছিল অত্যন্ত গুরুত্ব একটা প্রমাণ। এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য গণমাধ্যমকে সাধুবাদ জানান তিনি। 

তিনি বলেন, নুসরাত অত্যন্ত সাহসী মেয়ে। সে জীবন দিয়ে গেছে, কিন্তু অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা রেখে গেছে। সে কোনো কিছুতেই নত হয়নি।

পেঁয়াজ মজুদদারদের লোকসানেই হবে : 

বর্তমান সময়ে যারা পেঁয়াজ মজুদ করেছে তাদের লোকসানই হবে উল্লেখ করে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এখন পেঁয়াজ মজুদ করছে, তারা কত দিন ধরে রাখতে পারবে সেটা হচ্ছে কথা। পেঁয়াজ আবার দ্রুত পঁচে যায়। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে তাদের লোকসানই হবে, লাভ হবে না।’

পেঁয়াজ ‘সংকট’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পেঁয়াজের সমস্যা থাকবে না। পেঁয়াজ চলে আসছে। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন এসে ঢুকবে। তারপরই আরও ৫ হাজার চলে আসবে। চিন্তার কিছু নেই।

তিনি বলেন, পত্রিকায় দেখলাম পেঁয়াজ রয়ে গেছে কিন্তু কেন তা বাজারে ছাড়ছে না সেটাই বড় কথা। আর কিছু না পেলে পেঁয়াজ নিয়ে, পেঁয়াজ ছাড়াও কিন্তু রান্না হয়। অনেক তরকারী আছে, যা পেঁয়াজ ছাড়াও করা যায়। এই পেঁয়াজ নিয়ে এত অস্থির হয়ে পরার কিছু নেই।  

ন্যামকে বিএনপি ডেড হর্স বলেছিল :  

‘৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা ঢাকায় জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) সম্মেলন করতে চেয়েছিলাম।’ ‘কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করতে না পারায় ঢাকায় ন্যাম সম্মেলন হয় নি। কারণ বিএনপি ক্ষমতায় এসে ন্যামকে বলেছিল, ‘এটা হচ্ছে ডেথ হর্স’। ‘সেই ডেথ হর্স তো এখন দৌড়ায় বেড়াচ্ছে, এখন কি করবে’। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) শীর্ষ সম্মেলন করতে পারে বলেও এ সময় জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা ঢাকায় ন্যাম সম্মেলন করতে চেয়েছিলাম। এ জন্য আমরা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র তৈরি করা, আমাদের বিমানবন্দরকে আধুনিক করা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক করা হয়, এ ছাড়া এই যে ন্যাম ভবন বলা হয়- ন্যাম সম্মেলন করবো বলেই আমরা ৩ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করলাম। যেন অতিথিরা এসে সেখানে থাকতে পারে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের পর সব চেয়ে বেশি সংখ্যক সদস্য কিন্তু ন্যামের সদস্য।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮তম জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) সম্মেলনে যোগদান করতে গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় বাকুর উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। ১২০টি উন্নয়নশীল দেশের জোট নিরপেক্ষ ফোরাম ন্যামের দুদিনের সম্মেলন ২৫ ও ২৬ অক্টোবর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর কংগ্রেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে এ সম্মেলনে যোগ দেন। রোববার আজারবাইজানে চার দিনের ওই সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা ঢাকায় ফেরেন।  


এএইচএস/টিএফ

আরও পড়ুন