• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০১৯, ০২:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৯, ২০১৯, ০২:০৪ পিএম

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় ১৫৭৭ মেডিকেল টিম

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় ১৫৭৭ মেডিকেল টিম
স্বাস্থ্য অধিদফতরের লোগো

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র প্রভাবে সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় ১৫ জেলায় ১ হাজার ৫৭৭টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়াও দূর্গত এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুসারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ১৫টি জেলাতে আঘাত হানতে পারে। ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে সেই এলাকাগুলোকে দূর্যোগপূর্ণ হিসেবে  চিহ্নিত করেছে। এসব জেলায় মোট ৪ হাজার ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র  প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও মোট ১ হাজার ৫৭৭ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে মেডিকেল অফিসার/সহকারী সার্জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, স্বাস্থ্য সহকারী কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোফাইডার ও অন্যান্য কর্মচারীদের সমন্বয়ে। এসব এলাকায় চাহিদা অনুসারে ওষুধসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোর জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ আছে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর ডিপোর্টে (সিএমএসডি)। সংশ্লিষ্ট জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ অন্যান্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র পাঠানো হবে।

দূর্গত এলাকাগুলোতে গর্ভকালীন ও জরুরি প্রসূতিসেবার প্রতি বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান ডা. আয়শা আক্তার।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে জরুরি প্রস্তুতি কর্মসূচিসহ সার্বিক বিষয় সমন্বয় করছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের সাথে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্গত এলাকার কন্ট্রোল রুমের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত,আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুসারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ১৫টি জেলায় আঘাত হানতে পারে। সেগুলো হলো: ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও কক্সবাজার।

এইচ এম/বিএস 
 

আরও পড়ুন