• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০১:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০১:১৭ পিএম

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে শিবসেনার ইস্তফা

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে শিবসেনার ইস্তফা
দেবেন্দ্র ফডণবীস, শারদ পাওয়ার ও উদ্ধব ঠাকরে -ছবি : আনন্দবাজার পত্রিকা

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বিজেপি ও শরিক শিবসেনার মধ্যে টানাপড়েন চলছিলই। এবার তার আঁচ গিয়ে পড়ল দিল্লিতেও। মোদী সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত টুইট করে জানিয়েছেন সেনার একমাত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাংসদ অরবিন্দ সবন্ত।

সোমবার (১১ নভেম্বর) নিজের পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠিয়ে দেন কেন্দ্রীয় ভারীশিল্প ও স্বউদ্যোগ মন্ত্রী অরবিন্দ গণপত সবন্ত। মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় তিনিই ছিলেন একমাত্র শিবসেনা সদস্য। আনন্দবাজার পত্রিকা জানায় টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘মিথ্যার এমন একটা পরিবেশের মধ্যে আমরা দিল্লিতে কেন থাকব? আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।’

মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদ নিয়ে চাপ ও পাল্টা চাপের খেলা চলছে দুই শরিক বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে। রোববার (১০ নভেম্বর) মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার দাবি থেকে সরে এসে চাপ বাড়িয়েছিল বিজেপি। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা চাপ দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল শিবসেনা।

গত দু’সপ্তাহ ধরে টানাপড়েন চলার মধ্যেই মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে বাদ দিয়ে বিকল্প সরকার গড়ার রাস্তাও খুঁজছিল শিবসেনা। যোগাযোগ চলছিল কংগ্রেস ও এনসিপি-র সঙ্গেও। তাতে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্য এনসিপি এবং কংগ্রেস শিবসেনাকে আগাম শর্ত দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সে কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন এনসিপি নেতা নবাব মালিক। সেই শর্তের প্রাথমিক ধাপ হিসাবেই কি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেয়ার কথা ঘোষণা করলেন অরবিন্দ সবন্ত? এই আবহের মধ্যে এ দিন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরে দেখা করতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে। সেনা সূত্রের খবর, শিবসেনার তরফে মুখ্যমন্ত্রী পদ ও এনসিপি-র তরফে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাওয়ার শর্তেই একে অপরের হাত ধরতে রাজি হয়েছে দু’দল।  এ দিন দুপুর আড়াইটায় রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে দেখাও করতে চলেছে উদ্ধব ঠাকরের দল।

২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১৪৫। এবারের নির্বাচনে ১০৫টি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি। শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি আসন। এনসিপি ও কংগ্রেস পেয়েছে যথাক্রমে ৪৪ এবং ৫৪টি করে আসন। ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে একের পর এক নাটকের পর্ব তৈরি হয়েছে মারাঠা ভূমে। বৃহত্তম দল হিসাবে বিজেপিকেই সরকার গড়তে ডেকেছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল। কিন্তু রোববার বিজেপি জানিয়ে দেয়, সংখ্যা না-থাকায় মহারাষ্ট্রে সরকার গড়বে না তারা। এর পরই রাতে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল শিবসেনার পরিষদীয় নেতা একনাথ শিন্দেকে সরকার গড়তে ডাকেন রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মহারাষ্ট্রের গণ্ডি ছেড়ে দিল্লির রাজনীতিতে শিবসেনার ‘তৎপরতা’ ভিন্ন ইঙ্গিত দিয়ে রাখল।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে তাদের একমাত্র সদস্য পদত্যাগ করলেও এনডিএ ছাড়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করে নি সেনা।

এসএমএম