• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০১৯, ০১:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২০, ২০১৯, ০১:৪০ পিএম

অভিশংসন ইস্যুতে প্রতিনিধি পরিষদে শুনানি

ট্রাম্প-জেলেন্সকি ফোনালাপ ছিল উদ্বেগজনক: নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ

ট্রাম্প-জেলেন্সকি ফোনালাপ ছিল উদ্বেগজনক:  নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন তদন্তে প্রতিনিধি পরিষদে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন হোয়াইট হাউজের সাবেক দুই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। বুধবার (২০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ভোয়া (ভয়েজ অব আমেরিকা) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে।

অভিশংসন বিষয়ক অনুসন্ধানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনত অভিযোগ সত্য দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের এই দু’ জন জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলেন যে, ২৫ শে জুলাই টেলিফোনে ট্রাম্প নিজেকে রাজনৈতিক ভাবে লাভবান করতেরাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেন্সকিকে যে চাপ দিচ্ছিলেন সে ব্যাপারে তারা অত্যন্ত বিচলিত এবং উদ্বিগ্ন বোধ করেছেন।

হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে কর্তব্যরত তৎকালীন শীর্ষ দুই বিশেষজ্ঞের একজন, সাবেক মার্কিন সেনা কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট কর্ণেল আলেকজান্ডার ভিন্ডম্যান সেই ফোনালাপ শুনেছেন বলে দাবি করেছেন। যেখানে ট্রাম্প ২০২০ সালে তাঁর সম্ভাব্য প্রধান প্রতিপক্ষ সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তাঁর ব্যবসায়ী পুত্র হান্টার বাইডেনের ব্যাপারে তদন্ত করতে জেলেন্সকির কাছ থেকে সহযোগিতা চান।

প্রতিনিধি পরিষদের ইন্টেলিজেন্স কমিটিতে অভিশংসন শুনানির দ্বিতীয় দিনে সেনাবাহিনীর পোশাকে উপস্থিত এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা বলেন, আমি যা শুনেছি তা ঠিক ছিল না, যথার্থ ছিল না।

ভিন্ডম্যান বলেন বাইডেনের ব্যাপারে এই রাজনৈতিক তদন্তের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের কোনই সম্পর্ক নেই। ভিন্ডম্যান বলেন যে ফোনে জেলেন্সকির সঙ্গে আলোচনায় ট্রাম্পের জন্য পররাষ্ট্র বিষয় নিয়ে তিনি কিছু পয়েন্ট তৈরি করেছিলেন, যার কোনটাই বাইডেনের তদন্তের বিষয় ছিল না।

তিনি আরও বলেন, বাইডেনের তদন্তের ব্যাপারে ট্রাম্পের অনুরোধকে এমন এক আদেশ হিসেবে দেখেছেন যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে এবং কিয়েভের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ককে ক্ষুন্ন করেছে।

অপরদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা জেনিফার উইলিয়ামস , যিনি নিজেও ট্রাম্প-জেলেন্সকির ফোনালাপ শুনেছিলেন। জেনিফার দাবি করেন, বাইডেনের ব্যাপারে তদন্তের অনুরোধ ছিল অস্বাভাবিক কারণ এটি ছিল অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়। পররাষ্ট্র বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর ১৪ বছরের চাকরি জীবনে উচ্চ পর্যায়ের টেলিফোন আলাপে তিনি এ রকমটি শোনেননি বলে জানান। আর তাই বাইডেন প্রসঙ্গটি তাঁর কাছে রাজনৈতিক বলে মনে হয়েছে।

এসকে

আরও পড়ুন