• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০২:১৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০২:২৩ এএম

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা

আইসিজের মুখোমুখি হতে হেগের পথে সু চি

আইসিজের মুখোমুখি হতে হেগের পথে সু চি

ন্ত র্জা তি বি চা দা

...............।।...............

রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ পরিচালনার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের সামনে উপস্থিত হতে নেদারল্যান্ডসের হেগে যাচ্ছেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা, ডি-ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়াটার্স প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য মতে, রাখাইনে সংঘটিত রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে তার বিরুদ্ধে গণহত্যারা অভিযোগ এনে গাম্বিয়ার করা মামলা লড়তেই সেখানে যাচ্ছেন সু চি। এমোণোতাঈ জানিয়েছে মিয়ানমার সরকার।

গত ১১ নভেম্বর মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা নিপীড়নকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে বিচার চায় আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। নিধনযজ্ঞ পেরিয়ে যাওয়ার প্রায় আড়াই বছর পর প্রথমবারের মতো কোনো দেশ এমন পদক্ষেপ নেয়।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সেদেশের অন্যান্য সরকারি কর্তৃপক্ষের হাতে হত্যা, ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, নির্যাতন, বাস্তুচ্যুতি ও অন্যান্য মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য যেসব অনুষঙ্গ কাজ করেছিল, সেগুলো বহাল থাকার প্রসঙ্গ তুলে ধরে নিধনযজ্ঞের দায়ে সম্প্রতি মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) প্রেরণ বা যুগোস্লাভিয়া ও রুয়ান্ডার মতো ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান জানান জাতিসংঘের তদন্তকারীরা। 

এছাড়া বিভিন্ন দেশের সরকার ও কোম্পানিগুলোকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক সীমিত করার আহ্বান জানানো হয়েছিল তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পনা অনুসারে সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাত লাখেরও বেশি মানুষ। 

১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত জাতিসংঘের অনুসন্ধানী দলের সবশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রাখাইনে এখনো ছয় লাখ রোহিঙ্গা থেকে গেছে। তারা শোচনীয় পরিস্থিতিতে বসবাস করছে।

এসকে

আরও পড়ুন