• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০২:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০২:৫৩ পিএম

‘ইউক্রেইনের ওপর চাপের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প‍‍’

সন্ডল্যান্ড ‘বোমায়‍‍’ বিধ্বস্ত ট্রাম্পের অভিশংসন প্রতিরোধ!

সন্ডল্যান্ড ‘বোমায়‍‍’ বিধ্বস্ত ট্রাম্পের অভিশংসন প্রতিরোধ!
গর্ডন সন্ডল্যান্ড

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন তদন্তে প্রতিনিধি পরিষদে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত গর্ডন সন্ডল্যান্ড। বুধবার (২০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ভোয়া (ভয়েজ অব আমেরিকা) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) শুনানির শুরুতেই তিনি বলেছেন, সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইউক্রেইনকে চাপ দেওয়ার নির্দেশ ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের।

সন্ডল্যান্ড বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন জানতেন তারা কি করছেন এবং কেন করছেন।

তিনি আরো জানান, প্রেসিডেন্ট চেয়েছিলেন তার ব্যক্তিগত আইনজীবী ও সাবেক নিউ ইয়র্ক মেয়র রুডি গিউলিয়ানি যেন ইউক্রেইনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের নেতৃত্বে থাকেন।

প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই ইউক্রেইন ইস্যুতে রুডি গিউলিয়ানির সঙ্গে কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন সন্ডল্যান্ড। তার এ সাক্ষ্য ইউক্রেইন বিতর্কে ট্রাম্পের সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকারই প্রমাণ দিচ্ছে।

সন্ডল্যান্ড বলেছেন, তিনি ইউক্রেইনকে বলেছিলেন, তারা ট্রাম্প এবং গিউলিয়ানির দাবি মেনে বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের একটি সরকারি বিবৃতি না দেওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য নাও পেতে পারে।

সন্ডল্যান্ডের কথায়, “যুক্তরাষ্ট্রের ওই নিরাপত্তা সহায়তা ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং তাতে দেরী হওয়াটা উচিত ছিল না।” একারণে সাহায্য নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে তদন্ত বিষয়ক বিবৃতি দেওয়ার জন্য সন্ডল্যান্ড ইউক্রেইনকে চাপ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “ইউক্রেইন ওইরকম বিপদে পড়েছিল দেখে আমি সত্যিই দুঃখিত। কিন্তু ওই সমস্যা সমাধানে এবং অচলাবস্থা নিরসনে তখন আমার যে চেষ্টা করার ছিল তা করার জন্য আমি দুঃখিত নই।”

কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে শুনানির উদ্বোধনী বক্তব্যে সন্ডল্যান্ড এমন সাক্ষ্য দিয়ে বোমা ফাটিয়েছেন। হোয়াইট হাউজের সব সাফাই এ বোমার তোড়ে উড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিবিসি’র এক সাংবাদিক।

তদন্তে দোষ বেরিয়ে এলে ট্রাম্প অভিশংসনের মুখে পড়বেন। তবে প্রতিনিধি পরিষদ যদি তার বিরুদ্ধে ভোট দেয় এবং সিনেটে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন তবেই পদ যাবে ট্রাম্পের।

এসকে

আরও পড়ুন