• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০১৯, ০২:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২২, ২০১৯, ০৩:২৪ পিএম

দাবানলের প্রভাবে বায়ু দূষণের প্রকোপ

ধোঁয়াটে অস্ট্রেলিয়ায় রুদ্ধশ্বাসের হাঁসফাঁস

ধোঁয়াটে অস্ট্রেলিয়ায় রুদ্ধশ্বাসের হাঁসফাঁস

অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জ্বলছে দাবানলের লেলিহান শিখা। যার প্রভাবে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্য। বায়ু দূষণের প্রকোপ সৃষ্টি হওয়ায় মারাত্মক শ্বাসকষ্টে ভুগছে রাজ্যের মানুষ। এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বিবিসি।

শুক্রবার (২২ নপভেম্বর) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থার প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, এরইমধ্যে দূষণের কারণে সৃষ্ট শ্বাকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে মানুষের ভিড় বাড়ছে। 
ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাপন।

টানা চতুর্থদিনের মতো শুক্রবার সকালেও অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর সিডনির বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙে ঘন ধোঁয়াশা আর তেজোদ্দীপ্ত সূর্যের মধ্যে।

অস্ট্রেলিয়ার তাপমাত্রা এখন এত বেশি যে এর সামান্য অবনমনও দেশজুড়ে দাবানলের সঙ্গে ধারাবাহিক লড়াই চালিয়ে যাওয়া দমকল কর্মীদের কাছে স্বস্তির পরশ ছড়িয়ে দেয়।

এসব দাবানলের ধোঁয়া উপকূলীয় শহর সিডনিকে গত সপ্তাহে বায়ু দূষণের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে বাজে ১০টি শহরের একটিতে পরিণত করেছে।

শুক্রবার সকালেও এয়ার ভিজুয়াল গ্লোবাল র‌্যাংকিংয়ে শহরটির অবস্থান ছিল ১০-এ; জাকার্তা ও শেনঝেনের ওপরে, মুম্বাই-কলকাতার নিচে।

গত সপ্তাহে এ র‌্যাংকিংয়ে সিডনি একবার ৮-এও স্থান করে নিয়েছিল।

দাবানল, দূষণের এ বিপর্যয়কর পরিস্থিতি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। এমন বিরূপ অবস্থায়ও তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না, অভিযোগ অনেকের।

দূষণ থেকে বাঁচতে সিডনিতে কাজ করতে আসা শ্রমিক ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মুখে মাস্ক দেখা গেছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমগুলো। দমকল কর্মীদের জানপ্রাণ লড়াইয়ে দুই সপ্তাহ পরও নিউ সাউথ ওয়েলস এখনও ৫৫টি বিচ্ছিন্ন দাবানলে জ্বলছে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল। 

নিউ সাউথ ওয়েলস স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রয়াটার্স জানায়, ধোঁয়াশার সঙ্গে আসা দূষিত বস্তুকণা মানবদেহের রক্তে মিশে যাওয়ার ফলে যে স্বাস্থ্যঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে তার কারণেই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে ।

এসকে