• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০১৯, ০৪:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১, ২০১৯, ০৪:০৪ পিএম

জন্মদিনেই দল বেঁধে ধর্ষণের শিকার একাদশ শ্রেণির ছাত্রী

জন্মদিনেই দল বেঁধে ধর্ষণের শিকার একাদশ শ্রেণির ছাত্রী

আবার দল বেঁধে ধর্ষণ। হায়দ্রাবাদ, দিল্লির পর এবার কোয়ম্বত্তুরে। জন্মদিনেই দল বেঁধে ধর্ষণের শিকার একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ওই ছাত্রীর বন্ধুকে বেঁধে রেখে তার সামনেই ধর্ষণের অভিযোগ ছ’জনের বিরুদ্ধে।

২৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতের এই ঘটনা ঘটে। সেই ধর্ষণের ভিডিও তুলে রাখে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ পেয়ে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

কোয়ম্বত্তুরের আরএস পুরম মহিলা থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ নভেম্বর রাত ৮টা নাগাদ ওই কিশোরীর জন্মদিন উপলক্ষে তার এক বন্ধুর সঙ্গে শহরের ঈশ্বরনগরের একটি পার্কে গিয়েছিলেন। রাত ন’টা নাগাদ তারা যখন বাড়ি ফেরার জন্য বেরোচ্ছিলেন, তখনই ছ’জন তাদের পথ আটকায়। কিশোরীর বন্ধুকে পার্কেরই একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধরের পর দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে দুষ্কৃতীরা। তারপর তার সামনেই ওই কিশোরীর ওপর চলে উপর্যুপরি ধর্ষণ।

ধর্ষণের পর তাদের ওই পার্কেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তবে তার আগে তাদের পথ আটকানো থেকে শুরু করে তরুণীর বন্ধুকে মারধর এবং বেঁধে রাখার ভিডিও তুলে রাখে দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনাও ক্যামেরাবন্দি করে।

ঘটনার পর নির্যাতিতা তরুণী কোনও রকমে বন্ধুর কাছে পৌঁছান। তারপর কোনওরকমে তরুণী তার বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর বাড়িতে পৌঁছান এবং রাতে সেখানেই ছিলেন। পরের দিন বাড়ি ফিরে মাকে গোটা ঘটনার কথা জানান। তারপর মায়ের সঙ্গে মহিলা থানায় গিয়ে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন। পাকসো আইন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, পরিদর্শদ প্রভাদেবীর নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল গঠন করে শুরু হয় অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি। সীরানাইকেনপালায়ম এলাকা থেকে টি রাহুল (২১), আর প্রকাশ (২২), এস কার্তিকেয়ন (২৮) এবং এস নারায়ণমূর্তি (৩০) নামে ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জেলা মহিলা আদালতে তাদের পেশ করা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং অন্যান্য সূত্রে বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

পুলিশের ধারণা, ঘটনা কাউকে জানালে ধর্ষণের সময় তুলে রাখা ভিডিও ইন্টারনেট-সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিও দিয়ে থাকতে পারে দুষ্কৃতীরা। সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

এসএমএম

আরও পড়ুন