• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০১৯, ০৯:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৭, ২০১৯, ০৯:০৭ পিএম

বাংলাদেশের ৩০ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেবে ইস্টার্ন কম্যান্ড

বাংলাদেশের ৩০ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেবে ইস্টার্ন কম্যান্ড
বাংলাদেশের ৪৮তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ফোর্ট ইউলিয়ামের শুরু হয়েছে বিশেষ প্রদর্শনী -ছবি : কলকাতা প্রতিনিধি

বাংলাদেশের ৪৮তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ৭ দিনের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন

................

ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় শাখা ইস্টার্ন কম্যান্ডের উদ্যোগে শুরু হলো বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে ৭ দিনের প্রদর্শনীর। এই উপলক্ষে ইস্টার্ন কম্যান্ডের সদর দফতর ফোর্ট উইলিয়ামে একটি প্রদর্শনীরও উদ্বোধন হয়েছে। অনুষ্ঠানমালা চলবে সপ্তাহজুড়ে। মূল অনুষ্ঠানের সূচনা হবে ১৩ ডিসেম্বর। চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ সম্মাননা জানাবে ইস্টার্ন কম্যান্ড।

সেনাস্মারকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান। সম্মানিত করা হবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রাক্তন ভারতীয় সেনাদেরও। থাকবে ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে একাধিক আলোচনা পর্ব।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ফোর্ট উইলিয়ামে বাংলাদেশের ৪৮তম বিজয় দিবসের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, আনন্দবাজার পত্রিকার সাবেক বিশেষ প্রতিনিধি সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত, দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাবেক ব্যুরো চিফ তরুণ গাঙ্গুলি এবং দৈনিক স্টেটসম্যান পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মানস ঘোষ। তার চারজনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ কভার করেছিলেন। দিনের পর দিন যুদ্ধের রিপোর্ট করেছেন তারা। 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির নেতৃত্বে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঝাঁপিয়ে পড়া, ১৯৭১ সালের  ১৩ দিনের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম এবং সেই সংগ্রামের ফলেই স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের জন্মের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রতি বছরই বাংলাদেশর বিজয় দিবসে কলকাতার উপ-দূতাবাসের অনুষ্ঠান ছাড়াও কলকাতায় একাধিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কম্যান্ড এই দিনটি নিয়ে বরাবরই একটু বেশিই স্পশর্কাতর। কারণ ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই শাখাটিই যুদ্ধের সময় কেন্দ্রীয় ভূমিকায় ছিল। ঢাকাসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন, অস্ত্র-শস্ত্র ও যুদ্ধের রসদ পৌঁছে দেয়া এবং সব শেষে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে খান সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া- এই গোটা পর্বটিতে ভারতের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনা বাহিনীর অংশগ্রহণ থাকলেও মূল সূত্রধরের কাজটি করেছিল ইস্টার্ন কম্যান্ডই।

ইস্টার্ন কম্যান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘দেশভাগের পর থেকেই বস্তুত এই যুদ্ধের অপরিহার্যতা স্পষ্ট হতে থাকে। আর তা চূড়ান্ত পৌঁছায় ১৯৭১ সালের মাঝামাঝি সময়। ’৭১-এর মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পরই কার্যত যুদ্ধের দামামা বেঁধে গিয়েছিল। বিভিন্ন সেক্টর কম্যান্ডারদের অধীনে মুক্তিবাহিনী এবং ইস্টার্ন কম্যান্ডের এই সশস্ত্র সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের লক্ষ লক্ষ মুক্তিকামী মানুষ।

ইস্টার্ন কম্যান্ডের সাতদিনের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) এক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। যুদ্ধের সময় ভারত ও বাংলাদেশের নানা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট, প্রবন্ধ, ছবি, বই, চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে এক সপ্তাহ ধরে।

ডিজিজি/এসএমএম

আরও পড়ুন