• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০২:৩৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০২:৪২ এএম

বিভিন্ন সংস্থার সম্ভাব্য সমীক্ষা ফল

ব্রিটেনের নির্বাচনে হবে জোর টক্কর, সম্ভাব্য জয় ক্ষমতাসীনদের

ব্রিটেনের নির্বাচনে হবে জোর টক্কর, সম্ভাব্য জয় ক্ষমতাসীনদের

ব্রিটেনে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ একধাপ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে শুরু হয়েছে যা শেষ হবে আজ রাতেই। দেশটির নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ওয়েস্টমিনিস্টারের দখল নিতে।

ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড জুড়ে থাকা ৬৫০ টি নির্বাচনী কেন্দ্রে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে স্থানীয় সময় রাত ১০টা পর্যন্ত।

ছবি- বিবিসির সৌজন্যে

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১২টা নাগাদ ব্রিটেনের বিভিন্ন সংস্থা একে একে তাদের নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে সম্ভাব্য জরিপের প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ শুরু করে। যাদের মাঝে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক নির্বাচনী সমীক্ষা পরিচালনাকারী সংস্থাও রয়েছে। অধিকাংশ সংস্থাগুলোর মতে শেষ পর্যন্ত ব্রেক্সিট সমর্থিত সরকারই ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন হবার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।  

ব্রিটিশ অনুসন্ধানী সংস্থা সার্ভেশন:কমরেস অতীতের বেশ কয়েকটি নির্বাচনের ফলাফল ও ব্রেক্সিটসহ এবারের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো বিবেচনায় নিয়ে তাদের প্রাথমিক জরিপের তথ্য প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির তথ্য মতে, জোরটক্কর দিয়ে শেষ পর্যন্ত ব্রিটেনের ক্ষমতায় বহাল থাকবে বরিস জনসনের কনসার্ভেটিভ পার্টি।

তাদের সমীক্ষা মতে, মোট ৬৫০টি আসনের মধ্যে এবার ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভদের দখলে যাবে ৪৮ শতাংশ সিট। অপরদিকে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির ভাগ্যে জুটবে ৩৮ শতাংশ সিট। সেক্ষেত্রে লন্ডনসহ নর্থ-ইস্ট ইংল্যান্ড, নর্থ-ওয়েস্ট ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে বেশ শক্ত অবস্থানে থাকবে বিরোধী লেবার পার্টি। তবে অ্যাঞ্জিলা, সাউথ-ওয়েস্ট ও সাউথ-ওয়েস্ট ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের মত অঞ্চলগুলোতে কনজার্ভাটিভদের বিশাল পার্থক্য গড়ে এগিয়ে যাওয়ার ফলে গড়ে শীর্ষ অবস্থান দখল করে নেবে তারাই। তবে এর কোনটিতে লেবার পার্টি চমক সৃষ্টি করতে পারলে জমে উঠবে নির্বাচনের নাটকীয়তা।

সৌজন্যে- ইউগভ

ব্রিটেনের সবচেয়ে নির্ভরশীল অনুসন্ধানী বিশেষজ্ঞ সংস্থা ইউগভ.কম তাদের প্রাথমিক সমীক্ষা তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত জোর লড়াই হবে দেশটির প্রধান দুইটি রাজনৈতিক শক্তির মাঝে। বিশেষ করে ব্রেক্সিটের প্রতি শেষ দিকে ব্রিটিশদের অনীহা খানিকটা বৃদ্ধি পাওয়া, সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে বরিসের কট্টর মনোভাব এবং অভিবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে রক্ষনশীলতা প্রদর্শনের বিষয়গুলো ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভদের নির্বাচনী ফলাফলে জোর প্রভাব সৃষ্টি করবে। তবে সামান্য ব্যবধানে তারাই ক্ষমতায় বহাল থাকার সম্ভাবনাই বেশি।     

পাঁচ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দেশটিতে তৃতীয় দফা সাধারণ নির্বাচন এটি। দেশটিতে প্রায় ১০০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ডিসেম্বর মাসে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে ৮ই জুন ও ২০১৫ সালে ৭ই মে ভোটগ্রহণ হয়েছিল।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় মেয়াদের তিন বছর আগেই আগাম জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করেছে বরিস জনসনের সরকার।

এসকে