• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯, ০৯:৩০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯, ০৯:৩০ এএম

যাদবপুর-রাজ্যপাল সংঘাত

আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে বহিষ্কারের ডাক

আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে বহিষ্কারের ডাক
কিছুদিন আগে আচার্য জগদীপ ধনখড়কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয়নি শিক্ষার্থীরা-ছবি : ডয়েচেভেলে

ক্রমশ আরও তিক্ত হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনখড়ের সঙ্ঘাত। রাজ্যপাল যদিও তার ‘প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক হস্তক্ষেপ’ বন্ধ করেননি। বুধবারও তিনি টুইট করে মমতা সরকারকে একহাত নিয়ে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃ্ঙখলা পরিস্থিতি তলানিতে ঠেকেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষোভ কমার কোনও লক্ষ্মণই দেখা যাচ্ছে না। বিজেপির দালাল রাজ্যপালের হাত থেকে সমাবর্তনের পদক নেয়ার কথা আগেই অস্বীকার করেছিলেন ছাত্র-ছাত্রীরা।

এবার তার সাম্মানিক আচার্য পদ থেকেও বহিষ্কারের দাবি তোলা হয়েছে। পড়ুয়াদের দাবি, তিনি কেন্দ্রীয় সরকার, তথা বিজেপির এজেন্টের ভূমিকা পশ্চিমবঙ্গে পালন করছেন। তার কাজকর্ম যতটা না সাংবিধানিক প্রধানের মতো, তার চেয়ে অনেক বেশি বিজেপির মুখপাত্রের মতো। সম্প্রতি একটি খোলা চিঠিতে রাজ্যপালের বহিষ্কারের দাবি তোলা হয়েছে। সমাবর্তন মঞ্চেই অবশ্য নাগরিকত্ব আইনের কপি ছিঁড়ে গোল্ড মেডেলিস্ট দেবস্মিতা চৌধুরী বুঝিয়ে দিয়েছেন, তারা এমনটাই করবেন।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সমাবর্তনে অংশ নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিতর্কের শিরোমণি জগদীপ ধনখড়। উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে উদ্দেশ্য করে একাধিক আপত্তিজনক শব্দের ব্যবহারও নাকি করেছিলেন আচার্য। এরপরেই আচার্য পদ থেকে জগদীপ ধনখড়কে বহিষ্কারের দাবিতে ফেটে পড়ে যাদবপুরের পড়ুয়ারা।

একটি খোলা চিঠিতে রাজ্যপালের বহিষ্কারের দাবি তোলা হয়েছে। সমাবর্তন মঞ্চেই অবশ্য নাগরিকত্ব আইনের কপি ছিঁড়ে গোল্ড মেডেলিস্ট দেবস্মিতা চৌধুরী বুঝিয়ে দিয়েছেন, তারা এমনটাই করবেন

.........................

রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে একটি খোলা চিঠি লেখা হয়েছে। সেখানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ‘মেরুদণ্ডহীন’, ‘বিজেপি’র দালাল’-র মতো বিশেষণ ব্যবহার করে বিঁধেছেন পডুয়ারা। সেখানে আরও লেখা হয়েছে, আপনাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে বহিষ্কার করার জন্য আমরা সর্বতোভবে ঝাঁপাব। যাদবপুরের ছাত্র সংগঠন আপনাকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদ থেকেও বহিষ্কার করার দাবি জানাচ্ছে।

ওই খোলা চিঠিতে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, এই আচার্যের ন্যূনতম সাধারণ জ্ঞান বা তর্ক করার ক্ষমতা নেই। তার ইতিহাস বোধশূন্য। ছাত্র, শিক্ষক এবং মুসলিমদের প্রতি সহিংসতার মনোভাব রয়েছে তার। অন্যদিকে যাদবপুরে ছাত্রছাত্রীদের কাছে বাধা পেয়ে রাজ্যপালের পুরো রাগ গিয়ে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ওপর। তিনি দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বলতেও কিছু অবশিষ্ট নেই। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করতে ১৫ দিনের মধ্যে ডাকও পাঠিয়েছেন তিনি। তবে সেই ডাকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যে সাড়া দেবেন না, তা রাজভবনের কর্মচারীরাও বিলক্ষণ জানেন।

ডিজিজি/এসএমএম

আরও পড়ুন