• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯, ০৯:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯, ০৯:০২ পিএম

এনডিএতে ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে বিজেপি

এনপিআর নিয়ে বেঁকে বসলেন বিহারের নীতীশ কুমারও

এনপিআর নিয়ে বেঁকে বসলেন বিহারের নীতীশ কুমারও

নাগরিকত্ব আইন (সংশোধিত), সারা ভারতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছিলেন। এবার এনপিআর অর্থাৎ জাতীয় জনগণনা পঞ্জি নিয়েও বেঁকে বসেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী, তথা ভারতের শাসক জোট এনডিএর অন্যতম শরিক নীতীশ কুমার। পাঞ্জাব, কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গের পর এবার বিহারের জনতা দল (ইউ)-র পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে- এখনই ওই রাজ্যে এনপিআর প্রক্রিয়া চালু করা যাবে না। 

জেডি (ইউ) সূত্রে খবর, এনপিআর নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। সেই বিভ্রান্তি না কাটার ফলেই এখন বিহারে এনপিআর না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর ফলে নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকপঞ্জি নিয়ে শাসক জোটের মধ্যেই বিজেপির বিরোধিতা বাড়ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

নীতীশ কুমারের দলের দাবি, মোদি সরকার এনপিআর নিয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা না দিলে বিহারে এনপিআর নিয়ে কোনো কাজ শুরু করতে দেয়া হবে না। যদিও কয়েকদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, এনআরসির সঙ্গে এনপিআরের কোনো মিল নেই। যদিও শাহের এই দাবিতে আমল দিতে চান না বিরোধীরা। ঠিক একইভাবে এনপিআর নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথার ওপর ভরসা করতে চাইছেন না জোটসঙ্গী জেডি (ইউ)-ও। আর তাই এনপিআরের ধোঁয়াশা পুরোপুরি না-কাটা পর্যন্ত নীতীশ কুমারের রাজ্যে তা এখনই কার্যকর করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিহারের শাসক দল।

এ প্রসঙ্গে জেডি (ইউ)-র মুখপাত্র কে সি ত্যাগী বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক কথা বলছেন, কিন্তু তার মন্ত্রিসভার সদস্যরাই আবার উল্টো কথা বলছেন। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, এনপিআর হল এনআরসির প্রথম ধাপ। ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এই বিভ্রান্তি কাটাতে হবে মোদি সরকারকেই। স্পষ্ট করতে হবে, তারা বলছেন, আর যা করতে চাইছেন- দুটো আলাদা বিষয় কি না। এনপিআর নিয়ে দ্বন্দ্ব ও সব আশঙ্কা দূর হওয়া প্রয়োজন। এনপিআরের উদ্দেশ্য কী তা বিশদে জানতে চায় জেডি (ইউ)। ত্যাগী বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বয়ং এই বিষয়টি পরিষ্কার না করলে এনপিআর বিহারে লাগু করার প্রশ্নই ওঠে না।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরালা আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে এই দুটি রাজ্যে এনপিআর নিয়ে কাজ শুরু করা হবে না। পশ্চিমবঙ্গ স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে এনপিআরের কাজ বন্ধ রেখেছে। একইভাবে কেরালা সরকারও এনপিআর নিয়ে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে। ফলে গোটা দেশেই নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির মতোই এনপিআর বা জাতীয় জনগণনা পঞ্জি নিয়েও লেজে-গোবরে অবস্থা মোদি-শাহ জুটির।

এফসি

আরও পড়ুন