• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২০, ০৭:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১, ২০২০, ০৭:৩৪ পিএম

ঘুরপথে অনলাইনে সিএএ করতে চাইছেন মোদী-শাহ

ঘুরপথে অনলাইনে সিএএ করতে চাইছেন মোদী-শাহ
আলাপচারিতায় ব্যস্ত নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ-ছবি : কলকাতা প্রতিনিধি
সোমবারই বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করিয়েছে পিনারাই বিজয়ন সরকার। প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে এলিডিএফ (লেফ্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট), ইউডিএফ (ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) এবং কংগ্রেসের মতো দলগুলো

...............................

নাগরিকত্ব আইন এবং সারা ভারতে এনআরসি করার বিরুদ্ধে প্রায় প্রত্যেকটি অ-বিজেপি রাজ্যই  রাস্তায় নেমে পড়েছে। নতুন এই আইনের বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলা এবং কেরল সরকার জানিয়ে দিয়েছে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোতে সিএএ, এনপিআর বা এনআরসি কিছুই হবে না। একইভাবে সুর চড়িয়ে রেখেছে বেশিরভাগ রাজ্যও।

মোদী সরকার যতই বলুক, রাজ্য সরকারগুলো সিএএ করতে বাধ্য, বাস্তবে তা যে জোর করে করানো সম্ভব নয়, তা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় মানছেন বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্বও। এক্ষেত্রে এবার অন্যভাবে ঘুঁটি সাজাতে চাইছেন মোদী-শাহরা। রাজ্যের বাধা উপেক্ষা করেই অনলাইনে সিএএ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছেন তারা।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, শাসক দল তৃণমূল, বিরোধী বাম ও কংগ্রেস এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার রাস্তায় বিরাট বিরাট মিছিল করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখিয়েছে। কেরলের বাম সরকার সিএএ-র বিরুদ্ধে ওই রাজ্যের বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করিয়েছেন। প্রায়  প্রতিদিনই বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে উত্তরপ্রদেশ, দিল্লির মতো জায়গায়। প্রতিদিনই নতুন নতুন রাজ্যে ছড়াচ্ছে এনআরসি-বিরোধী বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতি রীতিমতো চাপের মধ্যেই রয়েছে দিল্লিতে বিজেপি-শাসিত সরকার। ফলে সিএএ কার্যকর করার ক্ষেত্রে তারা আর কোনও রাজ্য সরকারের ওপর নির্ভর করতে চাইছে না। সরাসরি রাজ্যগুলোকে উপেক্ষা করে সিএএ প্রক্রিয়া পুরোটাই অনলাইনে করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং বিজেপি, উভয় সূত্রেই বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।

সিএএ আইন কার্যকর হওয়ার পরেই যেভাবে বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ বেড়েছে তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন, অনলাইনে ঝাঁপাবে তার সরকার। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, আইন কীভাবে প্রয়োগ করতে হয় তা তার জানা আছে। সেই ইঙ্গিত মেনেই এবার কাজ শুরু করতে চাইছে সরকার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকেই জানানো হয়েছে, অনলাইন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে চালু হয়ে গেলে নাগরিক আইনের বিষয়ে রাজ্যগুলোর কিছু করার থাকবে না। সেক্ষেত্রে আইনটি কার্যকর করে নিতেও মোদী ও শাহ কোম্পানির বিন্দুমাত্র অসুবিধে হবে না। এই কথা মাথায় রেখেই দিল্লির সরকার গোটা প্রক্রিয়াটি অনলাইনে করতে চাইছে। অনলাইনেই নাগরিকত্বের আবেদন, তথ্য যাচাই এবং নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।

সিএএ বাতিল করার দাবি নিয়ে সোমবারই (৩০ ডিসেম্বর) বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করিয়েছে পিনারাই বিজয়ন সরকার। প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে এলিডিএফ (লেফ্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট), ইউডিএফ (ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) এবং কংগ্রেসের মতো দলগুলো।

ডিজিজি/এসএমএম

আরও পড়ুন