• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৪:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৪:০৭ পিএম

ইরানকে ঠেকাতে ইসরায়েলি মিসাইল কিনছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানকে ঠেকাতে ইসরায়েলি মিসাইল কিনছে যুক্তরাষ্ট্র

জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর ইরান-যুক্তরাষ্ট্র মধ্যকার উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে ইসরায়েল থেকে দূরপাল্লার ‘স্পাইক প্রিসিশন মিসাইল’ কিনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সেনারা এটিকে নিজেদের শক্তিশালী অ্যাটাক হেলিকপ্টারগুলোতে ব্যবহার করতে চায়।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ইসরায়েলি গণমাধ্যম ‘দ্য জেরুজালেম পোস্ট’ জানায়, ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ভবিষ্যতের অভিযানগুলোতে আরও সফল করতে আপগ্রেশনের পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অতি উন্নত এই মিসাইলগুলো কেনার বিষয়টি ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন এপাচি হেলিকপ্টারগুলো থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরের টার্গেট ধ্বংস করা সম্ভব। যদিও এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র এখন হেলিকপ্টার থেকে আরও দূরের লক্ষ্য যেমন, শত্রুদের ট্যাংক, বাঙ্কার ও সামরিক দলের ওপর আঘাত হানার সক্ষমতা চায়।

এর আগে ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরের বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।

সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে। কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল ইরান। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে হামলাটি চালানো হয়। অপর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠোর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।

অবশেষে গত ৮ জানুয়ারি ভোরে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে সেই হামলা চালায় তারা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, এবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত ও দুই শতাধিক লোক গুরুতর আহত হয়েছেন।
এসকে

আরও পড়ুন