• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৪:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৪:৫০ পিএম

মধ্যপ্রাচ্যে ঐক্যের ডাক দিলেন খামেনি

মধ্যপ্রাচ্যে ঐক্যের ডাক দিলেন খামেনি
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি

মধ্যপ্রাচ্যে ঐক্য গঠনের ডাক দিয়েছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেছেন, বর্তমানে আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র উত্তেজনা চলছে। বিদেশি শক্তির প্রভাব এড়িয়ে চলতে এই অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোকে একত্রিত হতে হবে।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) এক টুইট বার্তায় খামেনি বলেছিলেন, এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের মধ্যে থাকা সম্পর্ককে আগের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী করতে হবে। এর পাশাপাশি বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় অঞ্চলটির রাষ্ট্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন খামেনি। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে যে হাঙ্গামার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, এবার সেটিও প্রতিহত করতে চাইছেন তিনি।

এর আগে ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরের বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।

সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে। কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল ইরান। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে হামলাটি চালানো হয়। অপর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠোর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।

অবশেষে গত ৮ জানুয়ারি ভোরে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে সেই হামলা চালায় তারা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, এবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত ও দুই শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। সে দিনই তেহরানে ইউক্রেনের 'বোয়িং-৭৩৭' বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে থাকা ১৮০ জনের প্রত্যেকেই মারা যান।

এরপর ধারণা করা হচ্ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে কঠিন কোনো পদক্ষেপই হয়তো নেবেন ট্রাম্প। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।

এসকে

আরও পড়ুন