• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২০, ১১:৪৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২১, ২০২০, ১১:৪৬ এএম

ঢোক গিলে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাব আনতে রাজি মমতা

ঢোক গিলে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাব আনতে রাজি মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় - ফাইল ছবি

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বারংবার আবেদন-নিবেদনেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছিলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত সোমবার (২০ জানুয়ারি) উত্তরবঙ্গ সফরে রওনা হওয়ার আগে বিমানবন্দরে নিজেই বললেন, সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় এবার বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করানো যেতে পারে। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, সব রাজ্যেরই উচিত বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস করানো। একইসঙ্গে তার দলের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে আবারও রাজপথে নামবেন তিনি। তবে এবার অভিনব কায়দায় প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেছেন তিনি। মমতা রাজপথে নামবেন রঙ-তুলি নিয়ে। তার সঙ্গে থাকবেন ৫০ জন শিল্পী। আগামী ২৮ জানুয়ারি গান্ধি মূর্তির পাদদেশে এই কর্মসূচি নিয়েছেন মমতা।

এদিন শিলিগুড়ি রওনা হওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিরোধী দলগুলো রাজি থাকলে আমরা এ নিয়ে একটি বৈঠক করব। বাংলার বিধানসভাতেও নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হবে। শুধু নিজের রাজ্যেই নয়, দেশের অন্যান্য রাজ্যের সরকারের কাছেও একই আর্জি জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন, সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করানোর জন্য সব রাজ্যের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। এনপিআর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের বলব, ভালো করে তা পড়ে নিতে। এটি কিন্তু এনআরসি-কেই (ভারতজুড়ে নাগরিক পঞ্জি) আনতে চলেছে।

কেরলের পর ভারতের মধ্যে পাঞ্জাব দ্বিতীয় রাজ্য যারা সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করিয়েছে। গত ডিসেম্বরে পাস হওয়া এই আইন পাঞ্জাব-সহ গোটা ভারতে অস্থিরতা তৈরি করেছে। এমনই দাবি করে পাঞ্জাবের বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করেছিলেন মন্ত্রী ব্রাহোম মহিন্দ্রা। সেই প্রস্তাবে বলা হয়, সিএএ-র নীতি বৈষম্যমূলক এবং মানবিকতা থেকে অনেক দূরে। আরও বলা হয়েছে যে সিএএ সংবিধানের মূল ভিত্তি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার অস্তিত্বে বড় আঘাত হানবে, তার সমস্ত রকমের ইঙ্গিত রয়েছে। সে কারণেই ধর্মের ভিত্তিতে কোনো রকম বৈষম্য এড়িয়ে সাম্য বজায় রাখার জন্য সিএএ প্রত্যাহার করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। কংগ্রেস শাসিত অন্যান্য রাজ্যেও একই পথে হাঁটার ইঙ্গিত মিলেছে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে।

এতদিন মিছিল, জনসভা, গানে-কবিতায় এনআরসির প্রতিবাদ হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সেই আন্দোলনের পক্ষে কলম ধরেছিলেন। কবিতা লিখে তিনি তার ফেসবুকে পোস্টও করেছেন। মমতার সেই কবিতার নাম ছিল ‘অধিকার’। দেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে অবিশ্বাস প্রকাশই ছিল সেই কবিতার বিষয়বস্তু। এবার তিনি ছবি এঁকে প্রতিবাদ জানাবেন বলে ঠিক করেছেন। তার সঙ্গে যোগ দেবেন পশ্চিমবঙ্গের আরও ৫০ জন চিত্রশিল্পী।

এফসি