ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির নাম ধরে বলেছেন, দেশে হিন্দুত্বের নামে হিন্দুদের বদনাম করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দার্জিলিংয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৩ তম জন্মবার্ষিকীতে তার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে দেয়া এক বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু দেশের এক বড় নেতা ছিলেন। যার কাছে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র স্লোগান ছিল। তিনি হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, নেপালি, গোর্খা, পার্শি, জৈন সকলের কথা বলেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হিন্দু ধর্ম কেবল একজনের জন্য নয়। হিন্দু ধর্ম সর্বজনীন। যার কথা স্বামী বিবেকানন্দ একবার নয় বারবার বলেছেন। কিন্তু বর্তমানে দেশে চলছে প্রত্যেক ধর্মকে বহিষ্কার করে হিন্দুত্বের নামে হিন্দুদের বদনাম করার অপচেষ্টা। আমরাও তো হিন্দু’ কিন্তু তাই বলে কী নেপালিকে পছন্দ করব না, তাঁদের উৎসব পালন করব না? গোর্খাদের, মুসলিমদের, খ্রিস্টানদের উৎসব পালন করব না?
বিজেপি নেতাদের নাম না করে মমতা বলেন, এরা কীভাবে দেশের নেতা হবে? দেশের নেতা কীরকম হয়? যে নেতা দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারেন তিনিই দেশের নেতা। যে নেতা সব ধর্ম, বর্ণ, জাতির সঙ্গে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেন তিনিই দেশের নেতা। গরীবদের জন্য যার ভালোবাসা আছে তিনিই নেতা হন।
তিনি আরও বলেন, দেখুন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু কী করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো। স্বাধীনতার আন্দোলনে, ধর্মনিরপেক্ষতার আন্দোলনে, গণতন্ত্রের আন্দোলনে উনি একই কথা বলেছেন। কিন্তু আজ স্বাধীনতার কথা ভুলে, গণতন্ত্র আর ধর্মনিরপেক্ষতার কথা ভুলে নিজেদের রাজনীতির স্বার্থে লোকেদের রক্ত নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে দেশে যে এনআরসি-এনপিআরের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে তাতে বহু মানুষের প্রাণ চলে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের অধিকার থাকবে কী থাকবে না আজ সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে!
মমতা বলেন, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর সবচেয়ে বড় ডান হাত কে ছিলেন জানেন? তাঁর নাম শাহনওয়াজ খান। নেতাজি তাঁদের নিয়ে কাজ করতেন। সবাইকে নিয়ে চলতেন।
এসকে