• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২০, ০১:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৫, ২০২০, ০১:৩৪ পিএম

করোনা ভাইরাস আতঙ্ক

উহানে আটকা ৫০০ বাংলাদেশি নাগরিক

উহানে আটকা ৫০০ বাংলাদেশি নাগরিক
চীনে অধ্যয়নরত রয়েছে বহু বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ♦ প্রতীকী ছবি

করোনা ভাইরাসের উৎসস্থল চীনের উহান শহরে অন্তত ৫০০ বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এরইমধ্যে দেশটিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। দেশটির হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকেই এই ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করছে বলে দেশটির অন্যান্য শহরের সঙ্গে উহানের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছি্ন্ন রয়েছে। ফলে সেখানে আটকে পড়াক এই ৫০০ বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন।

তবে কোনও বাংলাদেশি আক্রন্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। উহানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সকলেই উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের অভিযোগ অন্যান্য দেশের দূতাবাস নিজ দেশের ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কেউ কোনো।

তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে জানা যায় উহান থেকে বাস, ট্রেন ও বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ ঘরে থাকছেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় খাবার সংকটেরও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে কোনও বাংলাদেশি আক্রন্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কেউ খোঁজ-খবরও নেয়নি।

এদিকে বাংলাদেশি কোনো নাগরিক এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হলেও যেভাবে এর সংক্রামণ বিস্তার লাভ করছে তাতে বেশ আতঙ্কের মাঝে রয়েছেন তারা। সম০অয় মত বাংলাদেশিদের সাহায্য প্রদানে দেশের সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তারা। সবাইকে নিরাপদে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার আকুতিও জানান শিক্ষার্থীরা।

চীনে বাংলাদেশি দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি কেউ আক্রান্ত হয়নি। পুরো উহান শহর লক ডাউন। যার কারনে আমরা চাইলেও তাদের কাছে যেতে পারছি না। তবে আমরা খোঁজ খবর রাখছি। শিক্ষার্থীদের অনেকের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। ওরাও চাইলে আমাদের কাছে আসতে পারবে না। সেখানে খাবারের একটা সংকট আছে। আমরা চীন সরকারকে বলেছি তারা যেন এ বিষয়ে নজর দেন।’

তিনি আরও বলেন,  ‘চীন সরকারের কিছু বিধি নিষেধ আছে। চাইলেই আমরা অনেক কিছু করতে পারি না। সব কিছুতে তাদের ওপর নির্ভরশীল। আমরা প্রতিনিয়ত দেশে আপডেট তথ্য পাঠাচ্ছি। এই মুহূর্তে বাংলাদেশি কাউকেই দেশে পাঠানোর কোনও সুযোগ নেই। কারণ চীন সব বিমানবন্দরও বন্ধ রেখেছে।’

এসকে

আরও পড়ুন