• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২০, ০৯:১৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৭, ২০২০, ০৯:১৭ এএম

নোবেল প্রাপ্তিতে কার অবদান বেশি, জানালেন অভিজিৎ

নোবেল প্রাপ্তিতে কার অবদান বেশি, জানালেন অভিজিৎ
জয়পুর সাহিত্য উৎসবে বক্তব্য রাখছেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ● আনন্দবাজার (পিটিআই)

ভারতে গণতন্ত্রের ভিত পোক্ত করতে আরও শক্তিশালী বিরোধীর প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিজিতের মতে, গণতন্ত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে সরকারেরও উচিত বিরোধী শক্তিকে মর্যাদা দেয়া।

রোববার (২৭ জানুয়ারি) জয়পুর সাহিত্য উৎসবে তিনি এ কথা বলেন। আননন্দবাজার।

অভিজিৎকে প্রশ্ন করা হয়, ভারতে থাকলে তিনি নোবেল পুরস্কার পেতেন কি না। তার উত্তরে ৫৮ বছরের অর্থনীতিবিদ বলেন, সেটা সম্ভব হতো বলে মনে করি না। 

তারপরেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ভারতে প্রতিভার অভাব নেই। কিন্তু কাঠামোগত সমস্যা আছে। অভিজিতের কথায়, এতো বড় কাজ একা সম্ভব হয় না। পরিসর বাড়লে একসঙ্গে অনেকের সাহায্য পাওয়া যায়।

 তার নোবেল জয়ের কৃতিত্বের বেশিরভাগটাই দিয়েছেন তার মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমআইটিকে।

তিনি বলেছেন, এখান থেকে প্রচুর উপকৃত হয়েছি। বিশ্বের সেরা পড়ুয়ারা গবেষণা করেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাজের অনেকটা জুড়েই আসলে অন্য অনেকের অবদান রয়েছে।

ভারতের অর্থনীতি নিয়ে তার উদ্বেগের কথাও এদিন খোলাখুলি বলেন অভিজিৎ। তার মতে, ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের আস্থাটাই নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। গাড়ি বিক্রি না-হওয়া যার অন্যতম বড় লক্ষণ। সেই সঙ্গে বললেন, দেশের ব্যাংকিং শিল্প তীব্র সঙ্কটে। কিন্তু তাকে চাঙ্গা করে তোলার জন্য ত্রাণ দেয়ার মতো অবস্থায় নেই সরকার। তার দাবি, শহর ও গ্রামীণ ক্ষেত্র যেহেতু পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল, তাই শ্লথ অর্থনীতি দেশে দারিদ্র কমানোর ক্ষেত্রেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

অভিজিতের কথায়, সরকার জানেই না তারা কোন দিকে চলেছে, কিসের মধ্যে ঢুকছে। কেন্দ্র যদি আরও লগ্নি চায় এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে আরও সম্পৃক্ত হতে চায়, তা হলে আমজনতার কাছে তাদের সঠিক তথ্য-পরিসংখ্যান পৌঁছে দেয়া জরুরি।

এর আগে ভারতীয় অর্থনীতির দুরবস্থা নিয়ে মুখ খোলায় অভিজিৎকে ‘বাম ঘেঁষা’ বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ।

এসএমএম

আরও পড়ুন