চীনে উৎপত্তি হলেও মারাত্মক করোনাভাইরাস এখন শুধু আর চীনে নেই। প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ তা এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ১৫টিরও বেশি দেশে।
একদিকে ছড়িয়ে পড়ার গতি খুব দ্রুত আর অন্যদিকে সর্দিজ্বরের মতো লক্ষণের কারণে ভাইরাসটি আরও বেশি বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনাভাইরাস মূলত আক্রমণ করে মানুষের শ্বাসযন্ত্রকে। সর্দিকাশি দিয়ে শুরু হয়ে এরপর জ্বরের মতো লক্ষণ থাকলেও সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে শ্বাসকষ্টসহ শ্বাসযন্ত্রের মারাত্মক প্রদাহে রূপ নেয়। এখন পর্যন্ত এর কোনও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা বা প্রতিষেধক ওষুধ বের করা সম্ভব হয়নি।
এজন্যই জনগণকে সতর্ক করার জন্য বিশেষ হেলথ বুলেটিন প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বুলেটিনে প্রথমেই বলা হয়, করোনাভাইরাস কোনও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন নয়। কাজেই অ্যান্টিবায়োটিকে এর নিরাময় হবে না। সুতরাং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার আগে জরুরি সতর্কতা, যেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে যতটা সম্ভব নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়।
পরামর্শ
▪ যত বেশি পারেন আপনার কণ্ঠনালীকে ভিজিয়ে রাখুন। কোনও অবস্থাতেই শুষ্ক হতে দেয়া যাবে না। অর্থাৎ তৃষ্ণা পেলেই পানি পান করুন। কণ্ঠনালী যদি শুষ্ক থাকে তবে মাত্র ১০ মিনিটেই আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।
▪ ৫০ থেকে ৮০ সিসি হালকা গরম পানি পান করুন (বড়দের জন্য)। ৩০ থেকে ৫০ সিসি ছোটদের জন্য।
▪ যখনই আপনি মনে করছেন আপনার কণ্ঠনালী শুকিয়ে আসছে, অপেক্ষা না করে দ্রুত পানি পান করুন।
▪ সবসময় হাতের কাছে বিশুদ্ধ পানি রাখুন।
▪ একবারে প্রচুর পানি পান করে লাভ নেই। বরং অল্প অল্প বিরতিতে অল্প অল্প পান করে কণ্ঠনালীকে সবসময় আর্দ্র করে রাখুন।
▪ মার্চ মাসের শেষ পর্যন্ত এই নিয়মগুলো মেনে চলুন।
▪ জনাকীর্ণ জায়গা থেকে দূরে থাকুন।
▪ ট্রেন, বাস এবং যে কোনও গণপরিবহনে মাস্ক পরুন।
▪ ভাজা পোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
▪ যে সব খাবারে প্রচুর ভিটামিন সি আছে সেই খাবারগুলো বেশি করে খান।
লক্ষণ
▪ ঘন ঘন ঊচ্চ তাপমাত্রায় জ্বর
▪ জ্বরের পর দীর্ঘায়িত কাশি
▪ শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি
▪ বয়ষ্কদের শারীরিক অসুস্থতাবোধ করা, মাথাব্যথা, বিশেষ করে শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত রোগে ভোগা।
এসএমএম