• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৪:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৪:৩৪ পিএম

জাপানে প্রমোদতরীতে করোনায় আক্রান্ত দুই শতাধিক

জাপানে প্রমোদতরীতে করোনায় আক্রান্ত দুই শতাধিক

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলেছে। মানুষের মাধ্যমে ছড়ানো এ মহামারিতে চীনে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৫৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তাছাড়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৫ হাজার।

গোটা বিশ্ব যখন মহামারি এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত, ঠিক তখনই করোনা আতঙ্কে ৩ হাজার ৭১১ যাত্রীসহ এক প্রমোদতরীকে আটক করেছে জাপান। যদিও রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কোয়ারেন্টাইন করে রাখা যাত্রীসহ জাহাজকে বন্দরে আনা হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ জানায়, ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের বন্দরে নোঙর করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’ নামে ওই যাত্রীবাহী প্রমোদতরীকে জাপানের একটি বন্দরে কোয়ারেন্টাইন করেছিল প্রশাসন। 

যদিও ক্রুজ শিপে থাকাকালীন নতুন করে মরণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২১৮ জনে পৌঁছেছে। তাদের সকলকেই বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি জাপানের ইয়োকোহামা উপসাগরীয় বন্দরে পৌঁছায় জাহাজটি। তখন সেখানকার ১০ যাত্রীর শরীরে জ্বরসহ করোনা ভাইরাসের অন্যান্য লক্ষণগুলো দেখা দেয়। এদের মধ্যে ৮০ বছর বয়সী এক যাত্রীর শরীরে ভাইরাসের আলামত পাওয়ার পর প্রমোদতরীটি কোয়ারেন্টাইন করে জাপান সরকার। মূলত এর পরপরই সেখানকার অন্য যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতসহ বেশকিছু দেশে অজ্ঞাত এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তাছাড়া আতঙ্কে রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের সবাই সম্প্রতি চীনে ভ্রমণ করেছেন কিংবা সেখানে বসবাস করেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

এসকে