• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৭:৩০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৮:০০ পিএম

সিঙ্গাপুরে আরও দুই বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত

সিঙ্গাপুরে আরও দুই বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত

সিঙ্গাপুরে নতুন করে আরও দুই বাংলাদেশি নাগরিক করনোভাইরাসে (সিওভিআইডি-১৯) আক্রান্ত  হয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দশটিতে অবস্থানকারী মোট ৪ জন বাংলাদেশি প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি)  সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা দ্য স্ট্রেট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সেদেশটিতে অবস্থানকারী এই দুই বাংলাদেশির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এখনও এই দুই বাংলাদেশি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন আরো দুই বাংলাদেশি। সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের দাবি, সেলেটার এরোস্পেস হাইটসে কাজ করতেন তিনি। ৩৯ বছর বয়সী ওই প্রবাসীর শরীরে প্রথম এ ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায় ৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজেস-এনসিআইডির আইসোলেশনে তাকে রাখা হয়। তিনি বহু বছর ধরেই সিঙ্গাপুরে বসবাস করছেন। পরে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আরও এক বাংলাদেশির শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একটি ক্যাসিনোয় কাজ করেন। তিনি থাকেন জোহর বারু এলাকায়।

বাংলাদেশে এখনও কেউ করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়নি। সিঙ্গাপুর ছাড়াও অন্য কোনও দেশে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ দেশ সিঙ্গাপুরে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।

সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। আরও দুজন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এ নিয়ে মোট ৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন বলে জানায় মন্ত্রণালয়।

২৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী চীনের বাইরে এ পর্যন্ত ২৫টি দেশে আড়াইশ’র বেশি মানুষের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

চীনের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ালো। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০১৩ জনে। আক্রান্ত হয়েছে ৪২ হাজারেরও বেশি। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৬ হাজার ৪৯৫ জন। যা মোট আক্রান্তের ১৭ শতাংশ।

এসকে