• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০, ১২:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০, ১২:৪৬ পিএম

নতুন পদ্ধতি সম্ভাবনাময়

করোনা চিকিৎসায় রক্তের অনুচক্রিকা ব্যবহারে সাফল্য!

করোনা চিকিৎসায় রক্তের অনুচক্রিকা ব্যবহারে সাফল্য!
প্রতীকী ছবি

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসজনিত প্রাণঘাতী কোরভিড-১৯ ব্যাধির প্রাদুর্ভাবে প্রতিদিনিই যখন দীর্ঘ হতে দীর্ঘতর হচ্ছে লাশের মিছিল, ঠিক তখনই মহামারি করোনা নিরাময়ে নতুন পদ্ধতিতে ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদানের পদ্ধতি উদ্ভাবন ও চিকিৎসা প্রদান শুরু করার কথা জানিয়েছেন চীনা চিকিৎসকরা।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সুস্থ মানুষদের দেহ থেকে ব্লাড প্লাজমা সংগ্রহ করে তা করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের শরীরে দেওয়া হয়। অবশ্য শুরুতে যে ২০ জন ব্লাড প্লাজমা দিয়েছেন, তাদের সবাই চিকিৎসক এবং নার্স। তারা মূলত ভাইরাসে আক্রান্তের পর সুস্থ হয়ে প্লাজমা দিয়েছেন। যার ধারাবাহিকতায় এবার তাদের পথ ধরে আরও ১৪ জন প্লাজমা দেন। জানা গেছে তারাও নাকি মহামারি এই ভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার পর প্লাজমা দিয়েছিলেন।

সূত্র- রয়টার্স

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, ব্লাড প্লাজমা দেওয়ার ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়। এরই মধ্যে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা রোগীদের সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার মতো সুসংবাদ এসেছে।

দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত গত একদিনে করোনা ভাইরাসে আরও ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৮৬৮ জনে পৌঁছেছে। তাছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ হাজারের অধিক। 

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিলে যোগ দেওয়া নতুনদের মধ্যে অধিকাংশই হুবেই প্রদেশের। তাছাড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন আরও তিন লক্ষাধিক মানুষ। কেবল তাই নয়, ভাইরাসটির শনাক্তস্থল চীনের সীমানা পেরিয়ে এর প্রাদুর্ভাব আরও অন্তত ২৪টি দেশে ছড়িয়ে গেছে।

বর্তমানে থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতসহ বেশকিছু দেশে অজ্ঞাত এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তাছাড়া আতঙ্কে রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও ভাইরাসের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। আক্রান্তদের সবাই সম্প্রতি চীনে ভ্রমণ করেছেন কিংবা সেখানে বসবাস করেন।

এমনকি সিঙ্গাপুরেও কয়েকজন বাংলাদেশির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা সকলেই বর্তমানে দেশটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

এসকে