• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০, ১২:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০, ১২:৫৬ পিএম

যে শর্তে অ্যাসাঞ্জকে ক্ষমা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

যে শর্তে অ্যাসাঞ্জকে ক্ষমা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে অভিশংসন ইস্যুতে চলা শুনানিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে বক্তব্য দিলে উইকিলিকসের সহ প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনটাই দাবি করেছেন অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী অ্যাডওয়ার্ড ফিতজেরার্ল্ড।

তিনি বলেছেন, অ্যাসাঞ্জকে সকল অপরাধ থেকে ক্ষমা করতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যদিও শর্ত ছিল, তাকে ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনের সময় ইমেইল ফাঁসের সঙ্গে রাশিয়া সম্পৃক্ত ছিল না বলে স্বীকারোক্তি দিতে হবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ জানিয়েছে, বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ওয়েস্ট মিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে চলা শুনানিতে তার আইনজীবী অ্যাডওয়ার্ড ফিতজেরার্ল্ড দাবিটি করেন। এ দিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লন্ডনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেলমার্শের কারাগার থেকে সরাসরি শুনানিতে অংশ নেন অ্যাসাঞ্জ।

শুনানিতে অ্যাডওয়ার্ড ফিতজেরার্ল্ড বলেছেন, ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অ্যাসাঞ্জকে প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ডানা রোহরাবাচার। এ বিষয়ে আমার কাছে পর্যাপ্ত সাক্ষীও রয়েছে।

এ দিকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীর করা দাবিটিকে এরই মধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে হোয়াইট হাউজ। এমনকি দাবিটিকে সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

এর আগে ২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস এই সহ প্রতিষ্ঠাতা। পরে দীর্ঘ সাত বছর আশ্রিত থাকার পর অবশেষে গত বছরের ১১ এপ্রিল দূতাবাস থেকেই জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করা হয়। মূলত এর মাধ্যমেই সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই ব্যক্তির কারাজীবন নাটকীয়ভাবে শুরু হয়।

২০১০ সালে মার্কিন কূটনৈতিকদের আড়াই লাখ ইমেইল এবং প্রায় পাঁচ লাখের বেশি সামরিক গোপন নথি ফাঁস করে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সুইডেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা উইকিলিকস। যদিও এর বেশ কিছুদিন পর সুইডেনে প্রতিষ্ঠানটির সহ প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

পরবর্তীকালে সেই মামলায় বিচারের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার তাকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তর করার কার্যক্রম শুরু করে। এরপর ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের একটি আদালত অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নেয়। এবার এসবের প্রেক্ষিতে বর্তমানে তিনি কারাভোগ করছেন।