• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০, ০৬:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০, ০৬:৫০ পিএম

শুরু আগেই ঝাঁপ বন্ধ ‘বিজেপিকে বলো’ কর্মসূচি

শুরু আগেই ঝাঁপ বন্ধ ‘বিজেপিকে বলো’ কর্মসূচি
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ● কলকাতা প্রতিনিধি

জনসংযোগ বাড়াতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী শুরু করেছিলেন নতুন কর্মসূচি ‘দিদিকে বলো’। অর্থাৎ স্থানীয় সমস্যা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা তৃণমূল নেতাদের মাধ্যমে সরাসরি দিদি অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দেয়া। সরাসরি ফোন নম্বরও দেয়া হয়েছিল এই কর্মসূচিতে। এরপরের পর্যায়ে তৃণমূলকে নকল করে তাদের কায়দায়ই তাদের মাত করে দিতে চেয়েছিল বিজেপি। দিদিকে বলোর পাল্টা তারা শুরু করেছিল বিজেপিকে বলো। কিন্তু তা শুরু হওয়া তো দূরের কথা, কয়েকদিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এই ধরনের কোনও কর্মসূচি আপাতত দলের হাতে নেই। নতুন এই ঘটনায় পদ্ম শিবিরের অন্দরের অস্বস্তিও বেড়ে গেছে। 

কয়েক সপ্তাহ আগে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, পৌরভোটে মানুষের প্রত্যাশার হদিস পেতে ‘টোল-ফ্রি’ নম্বর চালু করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। এরপরেই সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল বিজেপির এই নতুন কর্মসূচির পোশাকি নাম হতে চলেছে ‘বিজেপিকে বলো’।

পশ্চিমবঙ্গে পৌর-নির্বাচনের আগে জনসংযোগ আরও নিবিড় করতেই যে এই কর্মসূচি নেয়া হচ্ছিল, তা বুঝতে অসুবিধে হয়নি রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু অচিরেই বিজেপি নেতৃত্ব বুঝতে পারে তাদের এই পদক্ষেপ তৃণমূলের ফটোকপি হয়ে যাচ্ছে। তখনই সেখান থেকে ফিরে আসে তারা।

পদ্ম-দফতর থেকে জানিয়ে দেয়া হয়, এই ধরনের কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি তাদের নেই।

বিজেপির বহু নেতা-নেত্রীই আগে অভিযোগ করে এসেছেন, ‘দিদিকে বলো’ প্রকল্প আসলে অন্য উদ্দেশে চালু করা। ফোন ট্যাপিং প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বিজেপি মনোভাবাপন্ন অংশের মানুষের মনের কথা আর সব তথ্য হাতিয়ে নেয়াই নাকি এর আসল উদ্দেশ্য। যে বিজেপি তৃণমূলের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিল, সেই তারাই আবার একই পথে হাঁটবে, তা মেনে নিতে পারছিলেন না, দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের মানুষই। তাই শেষ পর্যন্ত বিজেপির বঙ্গ শাখার তরফ থেকে জানান হয়, ‘বিজেপিকে বলো’ এই ধরনের কোনও কর্মসূচি আপাতত দলের তরফে নেয়া হচ্ছে না।

ডিডিজি/এসএমএম