• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০, ১১:১৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০, ১১:১৮ এএম

বিভিন্ন দেশে বেড়েছে কোভিডে মৃতের সংখ্যা

বিভিন্ন দেশে বেড়েছে কোভিডে মৃতের সংখ্যা
প্রতীকী ছবি

কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যায় চীনের পরপরই স্থান করে নিয়েছে প্রতিবেশি দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার দেশটির কর্মকর্তারা এ ভাইরাসে আরও দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ জন। তাদের মৃত্যুর পর সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ইতালিতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট তিনজনের মৃত্যু হলো।

চীনের মূল ভূখণ্ডের পর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ইরানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নতুন ১৫ জনসহ দেশটিতে এখন এখন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৩ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ হাজার ৬১৯ জন। আক্রান্ত অন্তত ৭৯ হাজার ৫০০।

দক্ষিণ কোরিয়ায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর দায়েগুর এক ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং একটি হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট আরও অনেকে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হতে পারেন বলে শঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন কর্তৃপক্ষকে এই প্রাদুর্ভাবের বিস্তার রোধে অভূতপূর্ব ও শক্তিশালী পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইতালির গণমাধ্যম জানায়, এ পর্যন্ত দেশটিতে কোভিডে প্রায় ১৫০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে লোম্বারদিয়া অঞ্চলে ১১২ জন, ভেনেতো অঞ্চলে ২৫ জন, পিওমন্তে অঞ্চলে ৬ জন, লাছছিও অঞ্চলে দুজন এবং এমিলা রোমানিয়া অঞ্চলে ৯ জন আক্রান্ত হয়েছে।

লোম্বারদিয়া অঞ্চলে দু’জন এবং ভেনেতো অঞ্চলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। 

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কোভিড-১৯ আতঙ্কে  লোম্বারদিয়া, ভেনেতো, পিওমন্তে ও ভেনেসিয়াসহ চার অঞ্চলে সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, গির্জা সিনেমা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ফুটবল লীগ, নাইট ক্লাব ও জাদুঘর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ভেনিস কার্নিভাল উৎসব।খাবারের সঙ্কট দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কায় রোববার সব সুপার মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। ইতালি সরকার আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছেন। পাশাপাশি আক্রান্ত এলাকায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে চলাচল করতে নিষেধ করা হয়েছে।

নতুন করে ইতালি, ইরান, হংকং, দক্ষিণ করিয়া ও আফগানিস্তানে বেশ কয়েকজনের শরীরে মিলেছে ভাইরাস। সংক্রমণ ছড়ানোর আতঙ্কে ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক ও পাকিস্তান। আফগানিস্তানও জারি করেছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা।

একই শঙ্কায় ইরান থেকে আসা সকল জাহাজ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কুয়েত। ভাইরাসের বিস্তার রোধে ইরান ও ইতালিতে অনেক স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে সঙ্কটময় পরিস্থিতি হিসেবে বর্ণনা করে একে চীনের জন্য বিশাল পরীক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

এসএমএম