• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০, ০২:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০, ০২:৩৪ পিএম

দিল্লি সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৩৮

দিল্লি সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৩৮

ভারতের রাজধানী দিল্লি এখন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল। গত কয়েকদিন ধরে বিতর্কিত এই আইনের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে তুমুল সহিংসতা চলছে। কয়েকদিনের এই সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এনডিটিভি

গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রূপ নেয়। এতে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এই সহিংসতায় বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নতুন করে আরও সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সহিংসতার ঘটনা তদন্তে দুটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সহিংসতার ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

এ দিকে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে ৪ সপ্তাহ সময় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে বাড়তি সময় চেয়েছে কেন্দ্র।

দিল্লিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হন সোনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিংয়ের মতো নেতারা। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিয়েছি। কেন্দ্র ও দিল্লি সরকার নীরব দর্শকের মতো আচরণ করছে। রাষ্ট্রপতি আমাদের দাবি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা জাতীয় লজ্জা। গত চারদিন ধরে দিল্লিতে যা হচ্ছে, সে ব্যাপারে রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি আমরা। কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।

অপরদিকে, উত্তর-পূর্ব দিল্লির অশোকনগরে মসজিদে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে বহিরাগতরা। তারা বেছে বেছে শুধু এলাকার মুসলিমদের বাড়ি ও দোকানপাটে আগুন দিয়েছে। তবে স্থানীয় হিন্দুরা জানিয়েছেন, তারা বহিরাগতদের কাউকে চেনেন না এবং এমন পরিস্থিতিতে গৃহহীন মুসলিমদের পাশে থাকবেন সবাই।

প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর ভারতের লোকসভায় বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়। বিলটি উত্থাপন করেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় পাস হয় বিলটি। রাজ্যসভায় এই বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৫টি। আর বিপক্ষে পড়ে ১০৫টি ভোট। এরপর ১২ ডিসেম্বর ভারতের রাষ্ট্রপতি বিতর্কিত এই বিলে সই করেন। ফলে বিলটি আইনে পরিণত হয়।

এসকে