নোভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ববাজারে নেমেছে ধস। বর্তমানে এশিয়া ও ইউরোপের শেয়ারবাজারে সূচক নিম্নমুখী। 

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

চীনের শেয়ারবাজারে নতুন করোনা ভাইরাসে প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরে সূচক নিম্নমুখী। এবার এর প্রভাব বিশ্ববাজারেও পড়তে শুরু করেছে। শুক্রবার জাপানের নিকেই সূচক কমেছে ৩ শতাংশ।

টোকাই টোকিও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র মার্কেটের ঊর্ধ্বতন বাজার বিশ্লেষক সেইচি সুজুকি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যে ধস নামতে শুরু করেছে তার প্রভাব জাপানের স্টকেও পড়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী ছিল। কিন্তু একবার যখন নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে তার মানে কঠিন পতন হতে যাচ্ছে। স্টক ও শেয়ার বিক্রি একবার শুরু হলে আরও বিক্রি হতে থাকে।  

এশিয়ার অন্যান্য অংশের মতো ভারতের বাজারও নিম্নমুখী। শুক্রবার নিফতি ও সেনসেক্স শেয়ার বাজারের সূচক প্রায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহে দুইটি শেয়ারবাজারেই ৬ শতাংশ সূচক কমেছে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির পর এবারই সপ্তাহজুড়ে এমন পতন হলো সূচকের।

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও ধস নেমেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ডো জোনস সূচক ১২০০ পয়েন্ট কমেছে। শেয়ারবাজারটির ইতিহাসে এটি সর্বনিম্ন পতন।

শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার এএসএক্স২০০ এর সূচক ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। নিউইয়র্কভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংকরেট ডট কমের প্রধান অর্থনৈতিক বিশ্লেষক গ্রেগ ম্যাকব্রাইড বলেন, বাজারে দ্রুত পতন ঘটার কারণ শঙ্কা ও অনিশ্চয়তা। এ মুহূর্তে একসঙ্গে দুটিই প্রভাব ফেলছে। 

চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাস আতঙ্কে কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে, যা বিশ্ববাজারে ফেলছে প্রভাব। দক্ষিণ কোরিয়ার উলসানে বৃহত্তম গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হুন্ডাই মোটরসের এক কর্মীর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির ওই কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া তাদের প্রায় ৪ হাজার কর্মীকে বাড়ি চলে যেতেও বলা হয়েছে।

এসকে