ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাল ৪১৫।
সোমবার (২৩ মার্চ) সকাল পর্যন্ত দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ জন। আক্রান্তরা মহারাষ্ট্র, গুজরাট, রাজস্থান ও বিহারের বাসিন্দা।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্র ও কেরালায়। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে এই দুই রাজ্যে এরই মধ্যেই ৬৭ জন সংক্রমিত হয়েছেন।
রোববার (২২ মার্চ) পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৭। তবে এদিন বিকালে কলকাতায় করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হওয়ায় সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮। তবে তার মধ্যেও আশার খবর, সংক্রমিত হওয়া ২৪ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ইউরোপীয় দেশগুলোর মতো যাতে সংক্রমণ হু হু করে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য রাজ্যে, শহরে লকডাউন, শাটডাউনের মতো পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, রাজস্থান, বিহার ও পাঞ্জাব। মুম্বই সম্পূর্ণ শাটডাউন। দিল্লিতেও একই রকম পরিস্থিতি।
সংক্রমণ আটকাতে দেশের ২২টি রাজ্যের ৭৫টি জেলায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র, কেরালা, দিল্লি, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশেই এমন জেলার সংখ্যা বেশি। তালিকায় রয়েছে অরুণাচলপ্রদেশও। মুম্বই, আহমেদাবাদ, গুরুগ্রাম, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ ও কলকাতার মতো শহরগুলোকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।
সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এরই মধ্যে ৩ লাখ ৪৩ হাজারে পৌঁছেছে। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ১৪ হাজার। সংক্রমণ ছড়িয়েছে ১৬৭টি দেশে। করোনার থাবা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৮ হাজার। সংক্রমণের দিক থেকে শীর্ষেই রয়েছে চীন। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮২ হাজার। তার পরেই রয়েছে ইতালি। সেখানে এই সংখ্যাটা প্রায় ৫৯ হাজার। তবে মৃত্যুর দিক থেকে সব দেশকে ছাড়িয়ে গিয়েছে ইতালি। সেখানে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫ হাজার মানুষের। আনন্দবাজার।
এসএমএম