• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২০, ০২:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৭, ২০২০, ০২:১৭ পিএম

আক্রান্তে সবার উপরে যুক্তরাষ্ট্র, মৃত্যু বেশি ইতালি

আক্রান্তে সবার উপরে যুক্তরাষ্ট্র, মৃত্যু বেশি ইতালি

কোভিড-১৯ আক্রান্তের দিক থেকে চীন-ইতালিকে ছাড়িয়ে এক নম্বরে উঠে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ৬৫৩ জন যা গোটা বিশ্বের মধ্যেই সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার ৪৬১ জন। আক্রান্তের সংখ্যা দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে এ ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন এবং প্রাদুর্ভাবের নতুন কেন্দ্রস্থল ইতালিকেও পেছনে ফেলেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮২ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০৯ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮৬৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এখনও চিকিৎসাধীন ৮০ হাজারের বেশি। তাদের মধ্যে ২ হাজার ১১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেকই নিউ ইয়র্কে। অঙ্গরাজ্যটি প্রায় ৪০ হাজার মানুষের শরীরে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ধরা পড়েছে।

নিউ ইয়র্কের পর যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের নতুন কেন্দ্র হতে চলেছে শিকাগো ও ডেট্রোয়েট।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখনও কোভিডে পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৮৫ হাজার ৬৫৩ জন।

তাদের তথ্য মতে, চীনে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৭৮২ জন। ইতালিতে ৮০ হাজার ৫৮৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে চীন। কোভিড উৎস দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। ফলে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৭৮২ জনই রয়েছে আর মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ২৯১ জন।

মার্চের মাঝামাঝি সময়ে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইউরোপকে কোভিডের মহামারির নতুন কেন্দ্রভূমি হিসেবে বর্ণনা করে। কিন্তু এরপর যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। দু’দিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রই কোভিডের মহামারির নতুন কেন্দ্রভূমি হয়ে উঠতে যাচ্ছে।

গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর তা এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে বসেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন আরও বেশি নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করায় আক্রান্তের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বাড়ছে। দেশটির নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের সবগুলো অঙ্গরাজ্যেই কোভিড প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।

কোভিডের প্রকোপে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে বেকারত্বের হার। গেলো সপ্তাহে প্রায় ৩৩ লাখ লোক বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেছে যা ১৯৮২ সালের আগের রেকর্ডের প্রায় ৫ গুণ বেশি। সেই সঙ্গে ফেডারাল সরকার ভাইরাস সংক্রমণ রোধে তাকে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি বরাদ্দ দিয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, মার্কিনদের কাজে ফিরতে হবে। আগের জায়গায় ফিরতে হবে এর ওপর ভিত্তি করছে আমাদের দেশ এবং আমি মনে করি খুব শিগগিরই এটি হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি যখন বলছি ফিরে যাবো তখন অনেকেই এর ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়া, হাত না মেলানো এবং আমরা যা যা বলেছিলাম সেসবকিছুর চর্চাই অব্যাহত থাকবে।

লাশের মিছিলে স্তব্ধ ইতালি

লাশের মিছিলে স্তব্ধ ইতালি। প্রাণঘাতী কোভিডে দেশটিতে প্রতিদিন নির্দয়ভাবে কেড়ে নিচ্ছে শত শত প্রাণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে আরও ৭১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে হাজার ৮ হাজার ২১৫ জনে। তার মধ্যে মেডিকেল টিমের সদস্য ৩৯ জন। একদিনে নতুন আক্রান্ত ৬ হাজার ১৫৩। দেশটিতে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬১২। চিকিৎসা শেষে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ হাজার ৩৬১। মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮০ হাজার ৫৩৯। চিকিৎসাধীন ৬২ হাজার ১৩ জন।

ইতালির ২১টি বিভাগীয় শহরের কেবল লোম্বার্ডিতে আক্রান্ত হয়েছে ৩৪ হাজার ৮৮৯ জন। সেখানে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৮৬১ জন।

এরপরেই এমিলিয়া রোমানিয়া অঞ্চল। সেখানে আক্রান্ত ১০ হাজার ৮১৬ জন এবং মারা গেছে ১ হাজার ১৭৪ জন। ভেনেতো অঞ্চলে আক্রান্ত ৬ হাজার ৯৩৫ এবং মারা গেছে ২৮৭ জন। পিয়েমনতে অঞ্চলে আক্রান্ত ৬ হাজার ৫৩৪ এবং ৪৪৯ জন মারা গেছেন।

তোসকানা অঞ্চলে আক্রান্ত ৩ হাজার ২২৬ জন এবং মারা গেছে ১৫৮ জন। মার্কে অঞ্চলে আক্রান্ত ৩ হাজার ১১৪ এবং ৩১০ জন মারা গেছে। লিগুরিয়াতে আক্রান্ত ২ হাজার ৫৬৭ জন এবং মারা গেছে ২৮০ জন। ট্রেনতিনোতে আক্রান্ত ২ হাজার ২০৩ জন এবং মারা গেছে ১৩৪ জন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

এসএমএম