• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২০, ০৭:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৭, ২০২০, ০৭:১১ পিএম

কোভিড-১৯

অতীত ভুলে ট্রাম্পকে ‘ঐক্যবদ্ধ’ হওয়ার আহ্বান চিনফিংয়ের

অতীত ভুলে ট্রাম্পকে ‘ঐক্যবদ্ধ’ হওয়ার আহ্বান চিনফিংয়ের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং

বাণিজ্য-শুল্কের পর করোনাভাইরাস নিয়েও সাম্প্রতিককালে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে। তবে করোনা-সঙ্কটের মোকাবেলায় হাতে হাত মিলিয়ে লড়াইয়ের কথাই বলল সাপে নেউলে সম্পর্ক এই দু’টি দেশ।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের মতে, এই মারাত্মক ভাইরাসের বিরুদ্ধে চীন ও আমেরিকার ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করা উচিত।

শুক্রবার (২৭ মার্চ) চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন দেশের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। তাতে তিনি এই কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে এই ভাইরাসের মোকাবেলায় আমেরিকাকে সমস্ত রকমের সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছে চীন।

সিসিটিভি জানায়, করোনা ঠেকাতে আমেরিকার সঙ্গে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত সহযোগিতায় প্রস্তুত চীন। সেই সঙ্গে এ সংক্রান্ত তথ্যের বিনিময়ও করবে চীন।

বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে সাম্প্রতিককালে দুই পক্ষের উত্তেজনা দেখেছে গোটা বিশ্ব। সেই সঙ্গে করোনাভাইরাস নিয়েও নানা বিরূপ মন্তব্য করেছেন চীন ও আমেরিকার নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে যেমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিদেশসচিব মাইক পম্পেও একে ‘চীনা ভাইরাস’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লেও ট্রাম্প এবং পম্পেও দু’জনেই জানিয়েছিলেন, চীনের উহান শহরে এটি প্রথম দেখা গেছে, সে কারণে একে ‘চীনা ভাইরাস’ বলেছেন।

অন্যদিকে এর পাল্টা হিসাবে চীনও নিশ্চুপ ছিল না। চলতি মাসেই বেইজিংয়ে চীনের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের দাবি ছিল, ‘মার্কিন সেনা’ই উহানে এই ভাইরাস এনেছে। তবে সেই তিক্ত অতীতকে ভুলে এবার একসঙ্গে লড়াইয়ের অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার দিকেই এগোতে চায় দু’দেশ।

শুক্রবারই করোনাভাইরাসের আক্রান্তের  সংখ্যার নিরিখে চীন, ইতালি, স্পেনকে টপকে গিয়েছে আমেরিকা। এদিন দুপুর পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৫ হাজার ৯৯১। অন্যদিকে চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৮২৮ জন। ফলে সঙ্গীণ অবস্থায় দু’দেশই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চায় বলে চীনা প্রশাসন সূত্রের খবর।

শি চিনফিংও জানান, চীন ও আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক ‘গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে’ দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে সহযোগিতার করা ছাড়া দু’পক্ষের কাছে অন্য কোনও রাস্তা খোলা নেই।

শি চিনফিংয়ের কথায়, আশা করি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে এবং দু’পক্ষই এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতা জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করতে পারবে।

এরই মধ্যে এই ভাইরাসের মোকাবেলায় চীনের বিভিন্ন প্রদেশ এবং সংস্থা থেকে আমেরিকাকে ওষুধপত্র এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানান শি চিনফিং। আনন্দবাজার।

এসএমএম