এপ্রিলের প্রথম দিন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজারে, যার মধ্যে কেবল ইউরোপেই সংখ্যাটা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। বিবিসি।
চীন ও ইরানের পর করোনাভাইরাস মূল আঘাতটি হানে ইতালিতে। তবে করোনাভাইরাসের কেন্দ্র এখন ইতালি থেকে সরে ক্রমশ স্পেনের দিকে যাচ্ছে।
স্পেন এখন বিশ্বের তৃতীয় দেশ যেখানে এক লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস আপডেট বলছে, স্পেনে মৃতের সংখ্যা মোট ৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
অর্থাৎ, শুধু স্পেন ও ইতালিতেই মারা গেছে মোট ২০ হাজারের বেশি মানুষ।
টানা ৫ দিন স্পেনে ৮০০ বা তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে।
তবে গোটা ইউরোপের অবস্থাই এখন শোচনীয়।
চীনে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ২০০ এর মতো।
এর চেয়ে বেশি মারা গেছে কেবল ফ্রান্স, ইতালি ও স্পেনে।
ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ৪২৮।
যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা ১৭শ ছাড়িয়েছে।
নেদারল্যান্ডসে ১ হাজার ছাড়িয়েছে।
বেলজিয়ামে ৮০০ এর বেশি মানুষ মারা গেছে।
জার্মানিমতেও ৮০০ এর কাছাকাছি মানুষ করোনাভাইরাসে মারা গেছেন।
সুইজারল্যান্ডে ৫০০ এর কিছু কম মানুষ মারা গেছে।
তুরস্ক, সুইডেন ও পর্তুগালেও ১৫০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই বৈশ্বিক মহামারিতে।
অস্ট্রিয়ায় মারা গেছে ১০০ এর মতো মানুষ।
ইউরোপ পুরো বিশ্ব থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন আছে।
১২ মার্চ ইতালিতে লকডাউন দেয়া হয়।
এরপর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ঘোষণা দেয় পুরো ইউরোপজুড়ে লকডাউন দেয়ার কথা।
১৮ মার্চ থেকে সেটা বলবৎ আছে।
ইরানে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে, দেশটির সরকারি হিসেব অনুযায়ী।
যদিও দেশটি করোনাভাইরাসের তথ্য লুকোচ্ছে বলে প্রতিবেদন করা হয়েছে। দেশটির চিকিৎসকরাও বিবিসিকে বলেছে যে দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার তুলনায় সরকারি হিসেব অনেক কম।
এখন পর্যন্ত পুরো বিশ্বে ৮ লাখ মানুষের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কুয়েন্সবার্গ বলছেন যুক্তরাজ্যে টেস্ট কম করা হচ্ছে এটা একটা রাজনৈতিক সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি—
এসএমএম