• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২০, ০৩:৩৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৩, ২০২০, ০৩:৩৫ এএম

করোনার গ্রাসে ৫০ সহস্রাধিক প্রাণ, আক্রান্ত প্রায় ১০ লাখ

করোনার গ্রাসে ৫০ সহস্রাধিক প্রাণ, আক্রান্ত প্রায় ১০ লাখ

মহামারী আকার ধারণ করা নভেল করোনাভাইরাস তিন মাসে কেড়ে নিয়েছে ৫০ হাজার মানুষের প্রাণ; আক্রান্তের সংখ্যাও ১০ লাখের কাছে পৌঁছেছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ হাজারের মতো মৃত্যু নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত নাগাদ বিশ্বে কোভিড-১৯ রোগে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ২০৩ জনে পৌছেছে বলে জানিয়েছে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি।
গত বছরের ডিসেম্বরে শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরনের এই ভাইরাসে মার্চ মাসের শুরুর দিনও মৃতের সংখ্যা ছিল ৩ হাজারের মতো।
তারপর এক মাসেই ৪৭ হাজারের মতো মৃত্যু দেখতে হল এই বিশ্ববাসীকে এবং এই মহামারীর শেষ কোথায়, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেননি কোনো গবেষক।
চীন থেকে শুরু হওয়ার পর ইউরোপকে বিপর্যস্ত করে এখন যুক্তরাষ্ট্র হয়ে উঠেছে মহামারীর কেন্দ্রস্থল।   
সবচেয়ে বেশি কোভিড-১৯ রোগীর দেশটিতে বৃহস্পতিবার মৃত্যুর মিছিলে আরও পৌনে সাতশ জন যোগ হয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ৫ হাজার।
যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যাও একদিনে বেড়েছে ২০ হাজারের বেশি; দেশটিতে ইতোমধ্যে মোট ২ লাখ ২৬ হাজার জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে।
পরিস্থিতি সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে; প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেই দিয়েছেন, সামনে খুব কষ্টের সময় আসছে।
ইউরোপের সবচেয়ে বিপর্যস্ত দুই দেশ ইতালি ও স্পেনের প্রতিটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতশর বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
স্পেনে এক দিনে রেকর্ড ৯৫০ জনের মৃত্যুর পর দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার তিন জনে দাঁড়িয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৯১৫ জনে, যা একক দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ। মৃতের সংখ্যায় ইতালির পরেই রয়েছে স্পেন।
মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গিয়ে ইতালি ও স্পেনের পরেই অবস্থান এখন ইউরোপের আরেক দেশ ফ্রান্সের। দেশটিতে ৪ হাজার ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯ রোগে।
একদিনে সাড়ে পাঁচশ জন যোগ হয়ে যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৯২১ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, যা প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের উৎস ভূমি চীনের চেয়ে কয়েকশ কম। চীনের মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৩১৮ জন হয়েছে।
মৃতের সংখ্যায় চীন ও যুক্তরাজ্যের মাঝে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান, সেখানে ৩ হাজার ১৬০ জনের মৃত্যু ঘটিয়েছে করোনাভাইরাস।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাজ্যের পরের তিনটি দেশও ইউরোপেরই- নেদারল্যান্ডস (১৩৩৯), বেলজিয়াম (১০১১) ও জার্মানি (৯৯৭)।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটিয়েছে ৮ লাখ ৮১ হাজার ২২১ জন মানুষের দেহে।
এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে, তারপরই রয়েছে ইতালি ও স্পেন। এই দুটি দেশের প্রতিটিতে ১ লাখের বেশি মানুষ এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
আক্রান্তের সংখ্যায় তাদের পরে রয়েছে চীন (৮২ হাজার), জার্মানি (৮১ হাজার), ফ্রান্স (৫৭ হাজার), ইরান (৫০ হাজার), যুক্তরাজ্য (৩৪ হাজার)।
মোট আক্রান্ত পৌনে ১০ লাখের মধ্যে ২ লাখ ৪ হাজার মানুষ ইতোমধ্যে সেরে উঠেছেন, যা মোট আক্রান্তের এক-পঞ্চমাংশ।
চীনে আক্রান্ত ৮২ হাজারের মধ্যে ৭৬ হাজার ৫৭১ জনই সুস্থ হয়ে গেছেন। স্পেনের ২৬ হাজার জনও সেরে উঠেছেন। জার্মানিতে সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৯ হাজার জন।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তানে ২ হাজার ৪১৩ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দেশটিতে মারা গেছে ৩৪ জন। ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে, আক্রান্ত ২ হাজার ৬৯ জন।
বাংলাদেশে নতুন দুজন রোগী শনাক্ত হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ জনে। মৃতের সংখ্যা আগের মতোই ৬ রয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন।

এসকে