• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২০, ০৫:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৪, ২০২০, ০৫:২৯ পিএম

ভরসা কাপড়ের মাস্ক, ভাবছে হোয়াইট হাউস

ভরসা কাপড়ের মাস্ক, ভাবছে হোয়াইট হাউস
মাস্ক পরিহিত এক নাগরিক ● রয়টার্স

দ্বিতীয় বার করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলাফলের রিপোর্ট হাতে ধরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এবারও নেগেটিভ এসেছে তার ফল। আমেরিকায় মাস্ক ব্যবহার নিয়ে শিগগিরই নির্দেশিকা আনতে চলেছে হোয়াইট হাউস।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ যেখানে বেশি, সেই সব এলাকায় সংক্রমণ রুখতে মানুষকে কাপড়ের মাস্ক এবং স্কার্ফ ব্যবহার করতে বলা হবে— এমনটা ভাবা হয়েছে। 

 ট্রাম্প যদিও বলেছেন, আমার মনে হয় না, এটা বাধ্যতামূলক। তবে মানুষ চাইলে পরতেই পারেন। 

আমেরিকায় করোনার ভরকেন্দ্র নিউ ইয়র্কে বাসিন্দাদের বলা হচ্ছে, সার্জিকাল মাস্কের পরিবর্তে জনসমক্ষে এলে কাপড়ের মাস্ক পরুন।

মেয়র বিল ডে ব্লাসিয়ো বলেছেন, যারা একেবারে সামনে থেকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করছেন, তাদের মতো সার্জিকাল মাস্ক সাধারণের ব্যবহারের জন্য নয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে যথাযথভাবে হাত ধোয়ার মতো শর্ত পূরণ হলে তবেই সাধারণ মাস্ক পরা যাবে। এর মধ্যে আমেরিকায় আর্থিক দিক থেকে ফের দুঃসংবাদ— বলা হচ্ছে, মার্চে ৭ লাখের ওপরে চাকরির সুযোগ খুইয়েছে গোটা দেশ।

২০০৯ সালের পরে এই প্রথম এত খারাপ অবস্থা বলে দাবি বুরো অব লেবার স্ট্যাটিসটিক্স-এর।

এখন এখানে মৃতের সংখ্যা ৬ হাজারের ওপরে। আক্রান্ত আড়াই লাখের কাছাকাছি। উত্তর ও পূর্ব ভারতে আটকে থাকা মার্কিন নাগরিকদের দেশে ফেরাতে রোববার (৫ এপ্রিল) থেকে নয়া দিল্লি-সান ফ্রান্সিসকোগামী একাধিক উড়ানের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে দিল্লির মার্কিন দূতাবাস সূত্রে। 

স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৩২ জন মারা গেছে জানিয়েছে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার পেরিয়েছে। মৃতের মোট সংখ্যা ১১ হাজারের কাছাকাছি। তবে স্পেনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, তারা সংক্রমণের শীর্ষে ক্রমশ পৌঁছে যাচ্ছেন। সংক্রমণের হার ধীরে হলেও কমছে।

করোনা-মহামারির গ্রাউন্ড জিরো চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের কর্মকর্তারা জানান, প্রয়োজন ছাড়া বাসিন্দারা বাইরে বেরোবেন না। দু’মাস লকডাউনে থাকার পরে স্বাভাবিক হতে চেষ্টা করছে উহান। প্রয়োজন থাকলেও বিদেশি দূতাবাস থেকে কূটনৈতিক  কর্মকর্তাদের বেইজিংয়ে আসতে নিষেধ করছে চীন সরকার। সেখানে বাইরে থেকে আসা মানুষের মাধ্যমে ফের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত।

৭ দিন আলাদা থাকার পরেও করোনার উপসর্গ যায়নি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) টুইটারে নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। বরিস বলেছেন, তার জ্বর রয়েছে, তাই তিনি আলাদাই থাকবেন। ব্রিটেনে ফের একদিনে রেকর্ড সংখ্যক রোগী মারা গিয়েছেন— ৬৮৪। অন্যদিকে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল আলাদা থাকার মেয়াদ শেষ করে কাজে যোগ দিয়েছেন। আনন্দবাজার।

এসএমএম