যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর মিছিল প্রতিদিনই রেকর্ড ছাড়াচ্ছে। মৃত্যুর খাতায় নাম লিখিয়েছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিও।
যুক্তরাষ্ট্রে ৬২ বাংলাদেশিসহ প্রাণহানি ৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জামের দাবিতে রাস্তায় নার্সরা। নিউ ইয়র্কেও সল্পতা দেখা দিয়েছে চিকিৎসা সামগ্রীর। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, নিউ ইয়র্কে আরও বেশি ভেন্টিলেটর থাকা উচিত ছিল। সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সাহায্য করার। তবে আমাকে অন্য রাজ্যগুলোর কথাও মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে।
কোভিড-১৯ এর মোকাবেলায় ল্যাটিন আমেরিকার পেরু ও পানামা নিয়েছে ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ। দেশ দু’টিতে নারী ও পুরুষ একই দিনে বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। নারীরা বের হবেন বুধ, বৃহস্পতি ও শনিবার। বাকি দিনগুলো পুরুষের।
রোববার (৫ এপ্রিল) সবাইকে ঘরে থাকতে হবে।
আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউ ইয়র্কের। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত গোটা আমেরিকায় মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজারের বেশি মানুষের। তার মধ্যে ২ হাজার ৯৩৫ জনই নিউ ইয়র্কের। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। গোটা আমেরিকায় আক্রান্তের প্রায় অর্ধেক সংখ্যা উঠে এসেছে এই নিউ ইয়র্ক থেকেই। আমেরিকায় এই মুহূর্তে আক্রান্ত ২ লাখ ৭৮ হাজার। সেখানে নিউ ইয়র্কের আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ৮৬৩।
একদিকে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে, মৃত্যুও ঠেকানো যাচ্ছে না, এমন পরিস্থিতিতে চিকিত্সা সরঞ্জামের আকাল নিউ ইয়র্কের পরিস্থিতিতে আরও সঙ্কটময় করে তুলেছে। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কুয়োমো।
তিনি বলেন, অত্যন্ত সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। এই পরিস্থিতিকে দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শহরে, তাতে ভেন্টিলেশন সিস্টেমের জোগান দিয়েও কুলনো যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন কুয়োমো।
বিশ্বে সংঘর্ষকবলিত এলাকাগুলোতে করোনা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির শঙ্কা জাতিসংঘের।
এসএমএম