• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২০, ১০:৩৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৮, ২০২০, ১০:৩৬ এএম

করোনার উৎপত্তিস্থল উহান অবমুক্ত

করোনার উৎপত্তিস্থল উহান অবমুক্ত

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হুবেইয়ের রাজধানী উহান থেকে লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষদিকে ওই শহর থেকেই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব শুরু হলে গত ২৩ জানুয়ারি পুরো উহান লকডাউন করে দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার ঠেকাতে গোটা বিশ্বে একের পর এক দেশ যখন লকডাউন করে দেওয়া হচ্ছে তখন এর উৎপত্তিস্থল উহানে বুধবার মধ্যরাত থেকে সকল বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। মানুষ এখন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। 

আজ থেকে চীনের উহান শহর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। এর আগে রাজধানী উহান বাদে হুবেই প্রদেশে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে কর্তৃপক্ষ। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরপরই বেইজিং কর্তৃপক্ষ শহরটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ঘরবন্দি করে রাখে ১ কোটিরও বেশি মানুষকে।

আজ থেকে উহানে ট্রেন, সড়কে চলাচলকারী সব ধরনের পরিবহন এবং অন্যান্য রেল সংযোগ পুনরায় চালু করে দেওয়া হয়েছে। উহানের বাসিন্দারা এখন চাইলেই শহর ছেড়ে অন্য যে কোনো স্থানে যেতে পারবেন। তবে হেলথ অ্যাপের যারা সবুজ সংকেত পাবেন সেসব সুস্থ বাসিন্দা ও পর্যটকই চলাচল করতে পারবেন।

করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর প্রায় ১১ সপ্তাহ ধরে উহানের ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দারা অবরুদ্ধ ছিলেন। পুরো উহান ছিল অচল আর ভূতুড়ে এক নগরী। বাইরের কেউ শহরটিতে ঢুকতে পারতো না সেখান থেকেও কেউ বাইরে যেতে পারেনি এতদিন। বন্ধ ছিল সব ধরনের যান চলাচল।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর চীনের মূল ভূখণ্ডে ৩ হাজার ৩০০ এর বেশি মানুষ মারা গেছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই রাজধানী উহানসহ হুবেই প্রদেশের। এছাড়া প্রায় ৮২ হাজার কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ ৭৭ হাজারের বেশি। করোনা মোকাবিলায় চীন সফল বলেও মনে করা হচ্ছে।

এদিকে গতকাল নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো এ সংক্রমণে কোনো মৃত্যু ছাড়াই একটি দিন পার করার কথা জানিয়েছে চীন। এদিন গোটা চীনে করোনা আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। তবে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মূলত বিদেশফেরত ও উপসর্গবিহীন রোগী বাড়তে থাকায় ফের উদ্বেগ দেখা দিয়েছে দেশটিতে।

এসকে