কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে তাদের সতর্ক করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুধু তাই নয় এ নিয়ে ভুল বার্তাও দেয়া হয়েছে তাদের।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এরইমধ্যে করোনাভাইরাসের হানায় আমেরিকায় মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার জনেরও বেশি। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ।
ট্রাম্পের অভিযোগ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যদি তাদের সঠিক বার্তা দিত, তা হলে এত লোকের মৃত্যু হত না দেশে। কিন্তু তারা সেটা করেনি।
তার আরও অভিযোগ, সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় যাদের দেখার কথা, সেটা না করে চীনের হয়ে কাজ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যার জেরে গোটা বিশ্বে মহামারির আকার নিয়েছে করোনা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যে টাকা আমেরিকা তাদের দেয়, সেই টাকা বন্ধ করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে টাকা দেয়া বন্ধ করব। তারা যে কাজটা করেছে সেটা অত্যন্ত ভুল।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আমেরিকা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে প্রচুর অর্থ সাহায্য করে আমেরিকা। কিন্তু দেশে যখন ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলাম করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে, তারা আমার সমালোচনা করেছিল। আমার এই কাজকে সমর্থন করেনি।
তিনি আরও বলেন, অনেক ভুল বার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অনেক আগে থেকে তারা সব কিছু জানত, কিন্তু সেটা জানায়নি।
চীনের হয়েই কাজ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এমন অভিযোগও তুলেছেন ট্রাম্প।
মার্কিন সেনেটর তথা সেনেটের ফরেন রিলেশন কমিটির চেয়ারম্যান জিম রিস্কও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন।
তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর ফলে শুধু আমেরিকার ক্ষতি হয়নি, গোটা বিশ্বকে এর ফল ভুগতে হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন জিম।
করোনাভাইরাস নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলেও মত জিমের। এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি। আনন্দবাজার।
এসএমএম