• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২০, ০৫:৩৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৫, ২০২০, ০৫:৪৩ এএম

করোনার উৎপত্তি অনুসন্ধানে নামছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনার উৎপত্তি অনুসন্ধানে নামছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
প্রতীকী ছবি

চীনের উহান প্রদেশ থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমন শনাক্ত হয়। প্রথম দিকে ইউরোপ ও আমেরিকা বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়নি, ফলশ্রুতিতে তিন মাসের মধ্যে পশ্চিমা বিশ্বই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী ৩ লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে কে দায়ী, তা নিয়ে নানা মন্তব্য চড়ে বেড়াচ্ছে। অনেকের দাবি, এই ইস্যুতে বহু ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ আছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য জনসম্মুখে একে অপরকে দোষারোপও করে চলেছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথা থেকে এবং কীভাবে তা মানবদেহে ছড়িয়ে পড়লো তা নিয়ে গবেষণার কথা জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই কাজে সহায়তা করবে প্রাণী স্বাস্থ্য বিশ্ব সংস্থা (ওআইই) এবং বিশ্ব খাদ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাজের বিষয়ে সব সদস্য রাষ্ট্র একমত হয়েছে এবং এ বিষয়টি উল্লেখ করে ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স’ রেজুলেশন আগামী সপ্তাহের প্রথমদিকে জেনেভাতে ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলিতে গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।

রেজুলেশনের ৯.৬ অপারেশনাল প্যারায় বলা আছে, এই ভাইরাস মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে পশুর ভূমিকা কী সেটি খুঁজে বের করার জন্য মাঠ পর্যায়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করা হবে। এই গবেষণার উদ্দেশ্য হচ্ছে ভবিষ্যতে এ ধরনের সার্স বা কোভিড-১৯ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এর ঝুঁকি কমানো হবে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কোন দেশ থেকে কীভাবে এটি ছড়িয়েছে সেটি বিবেচ্য নয়, তবে এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ভাইরাসের মূল খুঁজে বের করতে হবে। এ ধরনের ভাইরাস কী শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোনও প্রাণির মাধ্যমে ছড়ায়, নাকি অন্য আরও প্রাণির মাধ্যমে ছড়ায় এই বিষয়গুলো বের করতে কাজ চলবে।’

রেজুলেশনের প্যারাটি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এই টেক্সটে কোনও রাাজনৈতিক বিষয় আনা হয়নি। যদি কোনও বিজ্ঞানী এটি পড়েন, তবে তিনি বুঝবেন, তাকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টিকে গবেষণার জন্য বলা হচ্ছে।’

অজানা এই ভাইরাস বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয় জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে কয়েকটি সংস্থার কথা বলা আছে এবং তাদের নিয়ে একটি গবেষণা হবে। এর সুবিধা হচ্ছে এই ধরনের অন্য কোনও ভাইরাস যেন তিন বছর বা অন্য সময়ে ছড়িয়ে পড়তে না পারে। আমরা যদি এখন এটি না করি তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় আমাদের অসুবিধা হবে।’

এসকে