• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ২০, ২০২০, ০২:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২০, ২০২০, ০৩:১২ পিএম

কোভিড-১৯

একদিনে সর্বাধিক শনাক্ত ১৬১৭, মৃত্যু ১৬ জনের

একদিনে সর্বাধিক শনাক্ত ১৬১৭,  মৃত্যু ১৬ জনের
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা

আক্রান্তের ৭৪তম দিন

....

৭৪তম দিনে এসে আবারও একদিনে সর্বাধিক শনাক্ত দেখলো বাংলাদেশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে নতুন করে ১ হাজার ৬১৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ২৬ হাজার ৭৩৮ জন। 

গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন আরও ১৬ জন। এর মধ্যে ১৩ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী। জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকার ৭ জন ও অন্যান্য জেলার আছে ৯ জন। বয়সের হিসেবে মৃতদের মধ্যে ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৪ জন ও ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি ৩৮৬ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২১৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৫ হাজার ২০৭ জন।

বুধবার (২০ মে) দুপুরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

মোট ৪৩টি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে যার মধ্যে ঢাকার ২২টি এবং ঢাকার বাইরে ২১টি। গত ২৪ ঘন্টায় মোট ১১ হাজার ১৩৮ টি নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ২০৭ টি। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৫২ টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেয়া হয়েছে ৩০০ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ৩ হাজার ৮১৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১০০ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৮৯৩ জন।

যারা কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক। তারা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরামর্শ থাকবে, তারা যেন এখনো নিজ ঘরে থাকেন।

মঙ্গলবার (১৯ মে) শনাক্ত হয় ১২৫১ ও মারা যায় ২১ জন। 

গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু করে। ৮ মার্চ দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম কোনও করোনা রোগী মারা যায়।

দেশে গত ২৮ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৫৪৯ জন। এরপর ২৯ এপ্রিল ৬৪১ জন, ৩০ এপ্রিল ৫৬৪ জন, ১ মে ৫৭১ জন, ২ মে ৫৫২ জন, ৩ মে ৬৬৫ জন, ৪ মে ৬৮৮, ৫ মে ৭৮৬ জন, ৬ মে ৭৯০ জন, ৭ মে ৭০৬ জন, ৮ মে ৭০৯ জন এবং ৯ মে ৬৩৬ জন, ১০ মে ৮৮৭ জন, ১১ মে ১০৩৪ জন, ১২ মে ৯৬৯, ১৩ মে সর্বাধিক ১ হাজার ১৬২ জন, ১৪ মে ১০৪১, ১৫ মে ১২০২, ১৬ মে ৯৩০, ১৭ মে ১২৭৩, ১৮ মে ১৬০২ ও ১৯ মে ১২৫১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।

ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ১ হাজার ১৭৯ জন মানুষ, যা দেশটিতে একদিনে সর্বাধিক মৃত্যুর হার।

জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি বলছে, বহু সংখ্যক করোনা আক্রান্তের দেশ হিসেবে ব্রাজিল ৩ নম্বরে উঠে এসেছে, দেশটিতে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার প্রায়। একমাত্র রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট তাদের ওপরে অবস্থান করছে। গত ২৪ ঘণ্টায়ও দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪০৮ জন।

বিশ্বে সর্বোচ ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ জন করোনা আক্রান্ত নিয়ে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র আর প্রায় ৩ লাখ নিয়ে রাশিয়া রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে।

ব্রাজিলে করোনা মোকাবেলা নিয়ে প্রেসিডেন্ট বলসেনারো এবং স্বাস্থ্য বিভাগের মধ্যে মতপার্থক্য চরমে। প্রেসিডেন্ট চান লকডাউন উঠিয়ে দিয়ে অর্থনীতিকে বাঁচাতে৷ কিন্ত এতে দিন দিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুর সংখ্যাও।

বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪৯ লাখ ৮৬ হাজার ৩৩৪ জন। মারা গেছেন ৩ লাখ ২৪ হাজার ৯১০ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৯৬জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৯৪ হাজার ৮১৩ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৫৮৯ জন।

এসএমএম

আরও পড়ুন