• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ২০, ২০২০, ০৩:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২০, ২০২০, ০৩:৪৬ পিএম

২৪ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

২৪ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান ● ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির মধ্যেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। বইছে দমকা হাওয়া। এমতাবস্থায় দেশের উপকূলবর্তী নিচু এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে।

বুধবার (২০ মে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় জেলাসমূহের ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনার প্রক্রিয়া অব্যহত রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান কারণে ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ১৪৪ জন মানুষকে আশ্রয় দেওয়া গেলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে। সেজন্য ২০ থেকে ২২ লাখ লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বুধবার দুপুর ১২টায় আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এগিয়ে এসেছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের বাতাসের সর্বোচ্চ বেগ ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘন্টায় ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আম্ফানের অবস্থান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে রয়েছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসঙ্কেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর বিপৎসঙ্কেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

এসএমএম

আরও পড়ুন