• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ২০, ২০২০, ০৫:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২০, ২০২০, ০৫:২২ পিএম

সন্ধ্যায় আঘাত হানবে আম্ফান

সন্ধ্যায় আঘাত হানবে আম্ফান
সংগৃহীত ছবি

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এ সময় উপকূলীয় অঞ্চলে ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। 

বুধবার (২০ মে) আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জানান, সন্ধ্যা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার উপকূলের সাগরদ্বীপ দিয়ে আম্ফান আঘাত হানবে। বাংলাদেশে এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে সাতক্ষীরা জেলায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঝড়টি শক্তি হারিয়ে দেশে প্রবেশ করবে।

সাতক্ষীরার পাশাপাশি খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়েও ঝড়ো বাতাস বয়ে যাবে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কি.মি. থেকে ২০০ কি. মি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আম্ফানের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান দুপুর তিনটায় মোংলা বন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে এটি পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ১০ নম্বর বিপদসঙ্কেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপৎসঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ৯ নম্বর বিপৎসঙ্কেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কি. মি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় ও দ্বিতীয় পক্ষের চাঁদের সময়ের শেষ দিনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা, অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০-১৫ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এসএমএম

আরও পড়ুন