• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২০, ২০২০, ১০:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২০, ২০২০, ১০:২৪ পিএম

আম্ফানের তাণ্ডবে ৬ জনের মৃত্যু, লণ্ডভণ্ড বিভিন্ন জেলা

আম্ফানের তাণ্ডবে ৬ জনের মৃত্যু, লণ্ডভণ্ড বিভিন্ন জেলা
সংগৃহীত ছবি

আম্ফানের প্রভাবে ঝড়ে গাছ ও দেয়াল চাপা এবং জলোচ্ছ্বাসে ৫ জেলায় ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (২০ মে) দুপুরে পুলিশ জানায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বয়স্ক ভাতা নেয়ার জন্য যাচ্ছিলেন ছিদ্দিক ফকির। এ সময় দক্ষিণ আইচা এলাকায় তার ওপর গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর মৃত্যু হয়।

পটুয়াখালীর গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়নে বাবা মায়ের সাথে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়লে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশু রাশেদের। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

পটুয়াখালীর ডিসি মতিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সকাল ৯ টার দিকে কলাপাড়া উপজেলায় প্রচার চালাতে গিয়ে খালে পড়ে নিখোঁজ হন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির ৬ নম্বর ইউনিট টিম লিডার সৈয়দ শাহ আলম। ৯ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নৌকায় করে তারা চারজনে প্রচার করছিলেন।

সাতক্ষীরার পৌরসভার কামালনগর এলাকায় আম কুড়াতে গিয়ে গাছ চাপায় এক নারী এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া দেয়াল চাপায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

চট্টগ্রামে স্বন্দীপে জলোচ্ছ্বাসে ভেসে এক যু্বকের মৃত্যু হয়েছে।

আম্ফানের তাণ্ডবের শিকার হচ্ছে উপকূলীয় জেলাগুলোর অধিবাসীরা। খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, ভোলা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলায় আম্পানের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বিধ্বস্ত হয়েছে নিঝুম দ্বীপ, চরঈশ্বর, নলচিরা, সুখচর ও চরকিং ইউনিয়নের শতাধিক কাঁচা ঘর।

নিঝুমদ্বীপ, কেরিংচর, নলেরচর, বয়ারচর ও ঢাল চরের নিচু এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় এসব এলাকার অধিকাংশ লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন ও সিপিপির কর্মীরা।

সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া ঝড়ো হাওয়ার প্রভাবে গাছ পড়ে, তার ছিঁড়ে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে উপকূলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অন্তত ১৭টি সমিতির ১০ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এর বাইরে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বা ওজোপাডিকোর প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশালের কিছু অংশ, বাগেরহাট, পিরোজপুর, সাতক্ষীরাসহ উপকূলের ১৭টি সমিতির ৫০ থেকে ৬০ ভাগ লাইন বন্ধ হয়ে গেছে।

এসএমএম

আরও পড়ুন