• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২০, ০৩:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৫, ২০২০, ০৩:৩২ পিএম

টনক নড়েনি মার্কিন পুলিশের, আঘাতে রক্তাক্ত প্রবীণ বিক্ষোভকারী

টনক  নড়েনি মার্কিন পুলিশের, আঘাতে রক্তাক্ত প্রবীণ বিক্ষোভকারী
সূত্র- দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

বর্বর পুলিশি নির্যাতনে যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রো-আমেরিকান নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড নিহতের ঘটনায় চলমান বিক্ষোভের মাঝেই নজরে আসছে মার্কিন পুলিশের অব্যাহত আগেয়াসি আচরণ।

শুক্রবার (৫ জুন) বিক্ষোভকারী এক সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধকে আঘাতে রক্তাক্ত করার মধ্য দিয়ে সেই পুলিশি নির্মমতার আরও একটি নজির দেখা গেল। এ সময় নিউ ইয়র্কের বাফেলোতে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করতে দেখা গেল পুলিশকে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের টুইটার পেজে প্রকাশিত এই ঘটনার একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, বাফেলো শহরে  শান্তিপূর্ণভাবে চলমান বিক্ষোভের মাঝে হানা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের কাছে এগিয়ে এসে কিছু একটা বলার চেষ্টা করছিলেন সেই প্রবীন বিক্ষোভকারী। কিন্তু হঠাৎ করেই এ সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে সজোরে ধাক্কা দিলে ভারসাম্য হারিয়ে ফুটপাথের ওপর পড়ে যান তিনি। আর শক্ত কংক্রিটে জোরে মাথা ঠুকে যাওয়ায় ফেটে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এখানেই শেষ নয়, বৃদ্ধের পরিস্থিতি দেখে তাকে সাহায্য করার জন্য দুই পুলিশ সদস্য ছুটে এলে তাদের বাধাদিয়ে ফেরত পাঠায় সেই পুলিশ কর্মকর্তা।

বিক্ষোভ রুখতে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) থেকে কারফিউ শুরু হয়েছে আমেরিকায়।  তা সত্ত্বেও পুলিশি নৃশংসতা ও বর্ণ বিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে সেখানে। কার্ফু অগ্রাহ্য করেই রাস্তায় নামছেন হাজার হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার বিকালেও বাফেলোর সিটি হলের সামনে বিক্ষোভ দেখান একদল প্রতিবাদী মানুষ। সেখান থেকে তাদের হটাতে রাস্তায় নামে পুলিশ। দাঙ্গা রোখার বিশেষ পোশাক পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। ৫ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতারও করা হয়। বিক্ষোভ হটিয়ে পুলিশ যখন ফিরে যাচ্ছিল, সেই সময়ই এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে।

এ ঘটনার পর মাথার নীচে জমাট বাঁধা রক্তের ওপরই নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকেন ওই বৃদ্ধ। পরিস্থিতি দেখে আশেপাশের লোকজন চেঁচামেচি শুরু করে দেন। রক্তপাত বন্ধ না হলে বিপত্তি দেখা দিতে পারে, তাই অবিলম্বে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা উচিত বলে পুলিশকে জানান তারা। এক পর্যায়ে  অ্যাম্বুল্যান্সে খবর দেয়া হয়। তড়িঘড়ি এসে ওই বৃদ্ধকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। এই মুহূর্তে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ভিডিও ক্লিপে সামনে আসতেই গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক  সমালোচনা শুরু হয়। 

জানা গেছে, বিষয়টি অবগত হতেই পদক্ষেপ নিয়েছেন বাফেলোর মেয়র।

অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বলা হয়, সাসপেন্ড থাকাকালীন বেতনও পাবেন না তারা। 

এই ঘটনার নিন্দা করেছেন বাফেলোর মেয়র বায়রন ব্রাউন বলেন, ভিডিওটি দেখে অত্যন্ত বিব্রত বোধ করছি। পুলিশ কমিশনার বায়রন লকউডও গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত দুই অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বাফেলোর গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোও।

এসকে/এসএমএম

আরও পড়ুন