• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২০, ১১:২৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১, ২০২০, ১১:২৬ এএম

লাদাখের সীমান্ত দ্বন্দ্ব

ভারত-চীন ৩য় দফা বৈঠক সম্পন্ন, সিদ্ধান্ত নিয়ে ধোঁয়াশা

ভারত-চীন ৩য় দফা বৈঠক  সম্পন্ন, সিদ্ধান্ত নিয়ে ধোঁয়াশা
প্রতীকী ছবি

লাদাখের সীমান্ত দ্বন্দ্বকে ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনা নিরসনে দ্বিতীয়বারের মতো মঙ্গলবারও (৩০ জুন)  দীর্ঘ প্রায় ১১ ঘণ্টাব্যাপী ম্যারাথন বৈঠক চললো ভারত-চীন কোর কমান্ডার পর্যায়ের। 

ভারত সরকারের সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবারের বৈঠকে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন সংঘাতের এলাকা থেকে সেনা সরানোর চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরির উপরে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় কীভাবে উত্তেজনা প্রশমিত করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

সূত্রের খবর, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চীনের 'নয়া দাবি' নিয়ে বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতীয় প্রতিনিধিদল। একইসঙ্গে সীমান্তে পূর্বাবস্থা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো লেক-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চীনা সেনা সরানোর দাবিও জানানো হয়েছে।

চুশুলের বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন লেহ'র ১৪ কোর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। চীনের তরফে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ শিনজিয়াং সামরিক অঞ্চলের কম্যান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন। 

প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্য মতে, মঙ্গলবারর দুপুর নাগাদ বৈঠক শুরু হয়েছিল, তা রাত ন'টা পার করেও চলেছে। সেই ম্যারাথন বৈঠকে সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয় সামলানোর ক্ষেত্রে যে সব চুক্তি রয়েছে, কঠোরভাবে সেগুলো মেনে চলার প্রসঙ্গে কথা  তোলে ভারত। একইসঙ্গে বৈঠকে দু'পক্ষের মধ্যে আস্থা গড়ে ওঠার উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়। তবে বৈঠকের পর দু'পক্ষ কোন কোন ইস্যুতে  মতৈক্য সৃষ্টিতে সফল হলো তা নিয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

এর আগেও দু'দেশের দুটি  কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথম বৈঠকটি গত ৬ জুন মলডোতে হয়েছিল। সেখানে দু'দেশ সেনা সরানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত মতো কোনো পদক্ষেপ  গৃহিত হয়নি। যার প্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় দু'দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই ঘটনার ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় ২২ জুন আবারও বৈঠকে বসেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং এবং চীনের কমান্ডার। প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে চলে সেই বৈঠক। সেখানেও ‘পারস্পরিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে সেনা সরানো’-র বিষয়ে একমত হয় দু'পক্ষ। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা  যায়নি।

এসকে