• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২০, ০৩:৫৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৪, ২০২০, ০৩:৫৭ এএম

দেশ ছাড়লেন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী নেতা নাথান ল

দেশ ছাড়লেন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী নেতা নাথান ল
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী নেতা নাথান ল- রয়টার্স

বেইজিংয়ের চাপিয়ে দেয়া নতুন নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগে রীতিমত কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীরা। এরইমধ্যে বেশ ক’জন নেতাকর্মীকে আটকের ঘটনার মাঝেই শেষ পর্যন্ত অঞ্চল ছেড়ে যেতে বাধ্য হলেন সার্বভৌম হংকং প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া অন্যতম নেতা নাথান ল। চীননিয়ন্ত্রিত হংকং ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি এক বিবৃতিতে নাথান ল নিজেই তার হংকং ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

সাবেক এ ছাত্রনেতা ২০১৪ সালে হংকংয়ের ‘আমব্রেলা আন্দোলনের’ পর জেল খেটেছিলেন। এখন বাইরে থেকেই হংকংয়ের গণতন্ত্রের জন্য লড়বেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে নাথান জানান, "আমি বিশ্বাস করি, এই আন্দোলন এখনও সজীব। ঝুঁকি থাকলেও হংকংয়ের মানুষ হাল ছাড়বে না,” বিবিসিকে এমনটাই বলেছেন তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির ১৬২ সদস্যের সম্মতিতে নতুন যে জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাস হয়েছে, তাতে হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কর্তৃপক্ষকে অবমাননা, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাতের সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
হংকংয়ের সরকার সে রাত থেকেই আইনটি কার্যকরের ঘোষণা দেয়।

নতুন এ আইনটিকে হংকংয়ের বিশেষ স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করে আসছেন গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকর্মীরা।

আইনটি কার্যকরের প্রতিবাদে পরদিন বুধবার শহরটির কয়েক হাজার বাসিন্দা বিক্ষোভও করে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে কাঁদুনে গ্যাস, জলকামান ও পিপার স্প্রে ব্যবহার করতে হয়েছে। এ সময় প্রায় তিন শতাধিক বক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

বিশেষ এই আইন প্রণোয়নের মাধ্যমে হংকংয়ের নূন্যতম স্বাধীনতা খর্ব করার পাশাপাশি তার জনগণের গণতান্ত্রিক অধীর হরণ করা হয়েছে বলে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে সে সব অভিযোগের কথা উড়িয়ে দিয়ে নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ বহাল রেখেছে বেইজিং।

এসকে