• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২০, ০৫:১৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১১, ২০২০, ০৫:১৩ এএম

বাতাসে ছড়ায় করোনা, প্রতিরোধে ডব্লিওএইচও‍‍`র নতুন নির্দেশনা

বাতাসে ছড়ায় করোনা, প্রতিরোধে ডব্লিওএইচও‍‍`র  নতুন নির্দেশনা
• জাগরণ গ্রাফিক্স ডেস্ক

বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম কণার (ড্রপলেটস) সাথে শরীরে প্রবেশ করে মানবদেহে বাসা বাঁধছে করোনাভাইরাস। সম্প্রতি বিশ্বের বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং প্রয়োজন অনুসারে স্বাস্থ্য বিধির সংস্কারের আহ্বান জানানোর পর এ বিষয়ে গবেষণামূলক অনুসন্ধান শুরু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও-হু)। অবশেষে বিশেষজ্ঞদের এই দাবির পরীক্ষামূলক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টিকে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি নিজেদের স্বাস্থ্য নির্দেশনায় প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সংযোজন নিশ্চিত করেছে হু।

অপরদিকে আলোচিত এই বিষয়টিসহ করোনাভাইরাস ও এর সংক্রমণ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আরো অধিকতর গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার এবং নতুন বা পরিবর্তিত কোনো তথ্য পাওয়া গেলে প্রাসঙ্গিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও ঘোষণা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুক্রবার (১০ জুলাই) এ সংক্রান্তে এক নির্দেশনা প্রকাশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট তথ্য সম্পর্ক জানায় সংস্থাটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, বাতাসে ভাসমান আণবিক কণা বা এরোসলের সাথে করোনা ভাইরাসের সম্পর্কের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে তবে আরও উন্নতমানের গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

বাতাসের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের এই বিষয়টি আমলে নিয়ে নিজেদের নতুন স্বাস্থ্য বিধিতে সংস্থাটি বলছে, রেস্তোরাঁ ও ব্যায়ামগারের ন্যায় আবদ্ধ পরিবেশেও করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটার ফলে বাতাস মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর কথা জানা যাচ্ছে।

এর প্রেক্ষিতে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা হিসেবে বলা হয়, অপ্রয়োজনীয়ভাবে মুখের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করা বন্ধ করতে হবে। জনবহুল স্থান বা বায়ু চলাচল করতে পারে না এমন জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে। কর্মক্ষেত্র হোক বা গৃহ, দিনের শেষে জীবাণুমুক্ত বাধ্যতামূলক করতে হবে। এছাড়াও দেহের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতাকে অটুট রাখার জন্য সঠিক বৈষম্যের আহার এবং যোগব্যায়াম করতে হবে বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

হু-এর নতুন গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে, বায়বীয় সংক্রমণ রুখতে গেলে ভিড় এড়ানো প্রয়োজন। বিল্ডিংয়ে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা একান্ত সম্ভব না হলে মাস্ক বাধ্যতামূলক। যেহেতু করোনা সংক্রমণ মূলত সংক্রামিত স্থান বা সংক্রামিত ব্যক্তির লালারস, কফ, হাঁচি বা কাশির সাথে নিঃসৃত মিউকাস থেকে ছড়ায়, তাই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাই একমাত্র পন্থা।

এছাড়াও উপসর্গযুক্ত ও উপসর্গহীন আক্রান্তদের কথা মাথায় রেখে সতর্ক হওয়া উচিত। শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ রুখতে গেলে প্রথমেই মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোনো বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও কমপক্ষে ৩ ফুটের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে।

এর আগে, প্রধানত শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটানোর বৈশিষ্ট্য আছে করোনাভাইরাসের, এ তথ্য উল্লেখ করে একদল বিজ্ঞানী দাবি করেন, সেক্ষেত্রে বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ একটা বড় ভূমিকা রাখছে বলে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে। আর তাই বিশ্বের ৩২টি দেশের প্রায় দুই শতাধিক বিজ্ঞানী এই আশঙ্কা প্রকাশ করে হু-এর কাছে অবিলম্বে নতুন গাইডলাইন প্রকাশের সুপারিশ জানিয়ে চিঠি পাঠায়।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদ জোস জিমেনেজ। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান “এতদিনে সঠিক পথে গবেষণা এগোচ্ছে। এটা অন্তত স্পষ্ট যে করোনা ভাইরাসের এই বিপুল সংক্রমণের অন্যতম মাধ্যম অবশ্যই বাতাস। ” বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমণ রোখার জন্যে হু-এর নতুন গাইডলাইন।