• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২০, ১০:৫৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৩, ২০২০, ১০:৫৮ এএম

চীনা ভাইরোলোজিস্টের দাবি

করোনা নিয়ে লুকোচুরি করেছে সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনা নিয়ে লুকোচুরি করেছে সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
চীনের ভাইরালোজিস্ট লি মেং ইয়ান - সংগৃহিত

করোনাভাইরাস নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং চীন সরকার লুকোচুরি করেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির একজন ভাইরোলোজিস্ট লি মেং ইয়ান। তার ভাষ্য মতে, মানুষ থেকে মানুষে দ্রুত সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম করোনাভাইরাস, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যটি জানা সত্ত্বেও প্রাথমিক পর্যায়ে তা আড়াল করা হয়। 
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম দ্য ফক্স নিউজকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষৎকারে এমন তথ্য দেন তিনি। চীনা ভাইরোলোজিস্ট আরো অভিযোগ করেন, সে সময় কোভিড-১৯ নিয়ে গবেষণা করতে চাইলেও তাতে সাড়া দেয়নি বেইজিং।

গেলো বছরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয় বলে দাবি করে আসছে বেইজিং। কিছুদিনের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। করোনা ভাইরাসের থাবায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিলে বিপর্যস্ত বিশ্ববাসী।

তবে এই ভাইরাস যখন শনাক্ত হয় তখনই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন ভাইরোলোজিস্ট। করোনা একজন থেকে অন্যজন দ্রুত সংক্রমিত হয় বিষয়টি জানার পরও তথ্য গোপন করে চীনা সরকার। এনিয়ে বেইজিং মিথ্যাচার করেছে বলেও ফক্স নিউজে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন তিনি।

চীনের ভাইরালোজিস্ট লি মেং, ইয়ান বলেন, যখন করোনার বিষয়টি প্রথমে জানতে পারি তখনই এর সত্যটা জানানোর চেষ্টা করি। হংকং প্রশাসনকেও অবগত করি। ভেবেছিলাম মৃত্যুর হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারবো। কিন্তু কেউ আমার কথা শোনেনি। যার ফল এখন দেখতেই পাচ্ছেন।

এই চীনা ভাইরোলোজিস্ট বলেন, কোভিড-১৯ বিষয়ে গবেষণা শুরু করলে এতে নানা বাধার সম্মুখীন হন তিনি। করোনা মহামারি রূপ নিতে পারে এ বিষয়ে তিনি সতর্ক করলেও পাত্তা দেয়নি বেইজিং ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

চীনের ভাইরালোজিস্ট ইয়ান লি মেং বলেন, বহু রোগী হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা পায়নি। সাধারণ মানুষ এবং চিকিৎসকদের মধ্যেও সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারের প্রবণতা ছিল না। করোনা বিষয়ে কেউকে কোনো ধরনের তথ্য দেয়া হতো না। চীনের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার কর্তৃপক্ষও সবসময় আতঙ্কে থাকতো। এমন পরিস্থিতি দেখে আমি ভেঙে পড়ি। চীনের ক্ষমতাসীন পার্টি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লুকোচুরির জন্যই আজকের এই পরিস্থিতি।

করোনা নিয়ে ডব্লিউএইচও এবং বেইজিং-এর গোপন তথ্য ফাঁস কোরে নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছেন বলে জানান এই চীনা বিশেষজ্ঞ।

করোনায় বিশ্বে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ২৮ লাখের বেশি মানুষ। তবে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ করছে বিশ্বের শতাধিক প্রতিষ্ঠান।

এসকে